ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমিয়েছে সরকার। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৭ টাকা, যা ছিল ১৯২ টাকা। তবে এই দাম গতকাল (১৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে তেল। অর্থাৎ খাতা-কলমে দাম কমলেও, বাস্তবে বাজারে রয়েছে ভিন্ন চিত্র।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ৭২/৬ উত্তর যাত্রাবড়ীর জান্নাত স্টোরে ফ্রেশ কোম্পানির ১ লিটারের সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯২ এবং ৫ লিটারের ৯২৫ টাকা।৫নং উত্তর যাত্রাবাড়ীর বরিশাল স্টোরে ১ লিটারের তীর সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা লিটার, সুতিখালপার এলাকার দাদা স্টোরে বোতলজাত তেল ১৯০ এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের ফারিহা স্টোর, মামা ভাগিনা স্টোর, বিসমিল্লাহ স্টোরের এক লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা এবং ৫ লিটারের তেল ৯২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও মালিবাগ, রামপুরা,ফকিরাপুল, গুলিস্তান, পল্টন, মিরপুর, মোহাম্মদপুরে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা লিটার এবং ৫ লিটারের বোতল ৯২০ থেকে ৯২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে বেশি দামে কেন তেল বিক্রি করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নে বিসমিল্লাহ স্টোরের মোঃ শাহআলম সহ একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, আগের দামে তেল কেনা, তাই আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। নতুন দামের তেল আসলে, নতুন দামে বিক্রি করা হবে। লোকসান দিয়েতো আর বিক্রি করা সম্ভব নয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুদ ও মূল্য পর্যালোচার পর লিটারে ৫ টাকা দাম কমানোর বিষয়ে সিদ্বান্ত নেওয়া হয়।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৭ টাকা। যা আগে ১৭২ টাকা নির্ধারন করা ছিল। আর ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২৫ টাকা থেকে ১৯ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ৯০৬ টাকা। এছাড়াও খোলা পাম সুপার তেল লিটার প্রতি ৪ টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা থেকে ১১৭ টাকা করা হয়েছে।
দাম না কমার বিষয়ে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা একাধিক ব্যাক্তি ভোক্তাকণ্ঠকে জানান, সমন্বয়ের হিসাব অনুযায়ী দাম যতটুকু কমানোর কথা, তা কমানো হয় নাই। তারপরও যতটুকু কমানো হয়েছে, সেই কম দাম টকুও পাচ্ছে না ভোক্তা। তদারকির অভাবে বেশি দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। তবে দাম যদি বাড়তো, তাহলে বাজার থেকে তেল তুলে নিয়ে লেভেল পরিবর্তন করে আবার বাজারে ছাড়তো ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এখন কমলেও অজুহাত দেখিয়ে আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারি নজরদারি বাড়ানো দরকার।
এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা ভোক্তাকণ্ঠকে জানিয়েছেন, আগের রেটের (দাম) তেল তুলে নিয়ে, নতুন দামের তেল বাজারে ছাড়ার জন্য কোম্পানিগুলোকে বলা হয়েছে। তা না করা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে পাড়া-মহল্লার ছোট ছোট দোকান গুলোতে আগের দামে তেল বিক্রি করে থাকতে পারে।