অনলাইন ডেস্কঃ
করোনা মহামারীর মধ্যেও পুরোদমে চলছে দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রজেক্ট রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। এক লাখ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে বিদেশি জনবলও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. শৌকত আকবর জানান, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে আমরা কাজের গতি আগের থেকে বাড়িয়েছি। রিঅ্যাক্টর ভবনের নির্মাণ কাজ এগিয়ে আছে। সব কাজ শিডিউল মতই চলছে। নির্মাণ কাজের ৩০ শতাংশের পাশাপাশি প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২৭ শতাংশ।“
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোট এক হাজার ৬২ একর জমির ওপর নির্মান করা হচ্ছে দেশের প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়ার আশা করছে সরকার। ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট চালুর কথা রয়েছে ২০২৪ সালে।
এ প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার বিদেশি জনবল সহ মোট আট হাজারের মত জনবল এ প্রকল্পে কাজ করা যাচ্ছে। করোনার মধ্যে কিভাবে কাজ করছে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, তিন রকম পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। কাজে যোগ দেওয়ার আগে প্রতিদিন তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। কারো তাপমাত্রা বেশি থাকলে সাত দিনের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। এরপর আবার পরীক্ষা করে সুস্থ মনে হলে তাকে কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, মহামারীতে অবরুদ্ধ অবস্থার সময় পরিবহন ও আমদানির ক্ষেত্রে ‘কিছু সমস্যা’ হলেও কাজের ক্ষেত্রে তা বড় ‘প্রভাব ফেলেনি। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের আবাসনের জন্য গণপূর্ত বিভাগ যে গ্রিন সিটি প্রকল্প করছে, সে কাজ সময়মত শেষ করার জন্য মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।