ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দশ লাখ কেজি বা এক হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এফ সি ট্রেডিং করপোরেশন নামক এক চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চাল রপ্তানির আবেদনের ধারবাহিকতায় বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে চাল রপ্তানির অনুমতি দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূ্ত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয় এফ সি ট্রেডিং করপোরেশনকে। শর্তগুলো হলো, রপ্তানি নীতি ২০১৮-২০২১ অনুসরণ করতে হবে। রপ্তানিযোগ্য সুগন্ধি চাল স্বচ্ছ (ট্রান্সপারেন্ট) প্যাকেটে প্যাকেটজাত করতে হবে। শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানিকৃত পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া চাল জাহাজীকরণ শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সব কাগজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে। আর এ সুবিধা চালু থাকবে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, নওগাঁ, রাজশাহী জেলায় বিআর৫, ব্রি ধান ৩৪, ব্রি ধান ৩৭, ব্রি ধান ৩৮, ব্রি ধান ৭০, ব্রি ধান ৮০ ও বিনাধান-১৩ সুগন্ধি ধান উৎপাদিত হয়। এসব ধান যেমন অধীক ফলনশীল তেমনি খেতে সুস্বাদু।
বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন জানান, বাংলাদেশি সুগন্ধি চালের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বিদেশিদের কাছে দিন দিন বাড়ছে। বহির্বিশ্বে এক সময় পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভারতের লম্বা-সরু বাসমতি চালের একচেটিয়া বাজার ছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশি সুগন্ধি চালও এখন জায়গা করে নিয়েছে।