ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: এশিয়ার শেয়ারবাজার চাঙা হলেও দেশের শেয়ারবাজারে টানা পতন প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবসেই পতনের মধ্যে থাকল ডিএসই। অবশ্য অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচক কিছুটা বেড়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে যদিও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। প্রথম মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর বেশ কয়েকবার সূচক ওঠা-নামা করে। তবে উত্থানের তুলনায় পতন প্রবণতাই ছিল বেশি।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক এক পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ এক পয়েন্ট কমে ৯৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৪টির। আর ২০৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সূচকের এই পতনের সাথে লেনদেনও কিছুটা কমেছে ডিএসসিতে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৬৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৮৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে । কোম্পানিটির ১৬ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের ১৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে এর পরের স্থানে রয়েছে বিকন ফার্মা।