ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: তেল-চিনি ও ডালের মতো পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায় সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশে (টিসিবি)। এখন সে তালিকায় যুক্ত হচ্ছে চাল। টিসিবির এক কোটি কার্ডধারী এই চাল কিনতে পারবেন। দ্রুতই চালু হবে এ কার্যক্রম।
খাদ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মাসে কমপক্ষে একবার সাশ্রয়ী মূল্যে ১০ কেজি চাল দেওয়া হবে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের।
এ চাল কত টাকায় বিক্রি হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতি কেজি চাল ১৫ টাকা নির্ধারণ হচ্ছে।
বর্তমানে এক কোটি কার্ডধারীকে প্রতি মাসে অন্তত একবার বিভিন্ন পণ্য দিচ্ছে টিসিবি। এর মধ্যে একজন ক্রেতা দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি করে ডাল-চিনি এবং শহরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ পাচ্ছেন। এখন চাল দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হলে একজন ক্রেতা এসব পণ্যের পাশাপাশি ১০ কেজি চালও কিনতে পারবেন।
খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এটা নিয়ে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি। দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে এ কার্যক্রম।
তিনি আরও বলেন, টিসিবি ও খাদ্য অধিদপ্তর ভিন্ন সংস্থা। এটা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। এছাড়া চালের দাম কত হবে এবং খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএসের ডিলার না কি টিসিবির ডিলার বিতরণ করবে এ নিয়ে কাজ হচ্ছে।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির বলেন, চাল দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে জেনেছি। এটা মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে টিসিবির কাছে এখনো সরকারি কোনো নির্দেশনা আসেনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিপণন প্রতিষ্ঠান টিসিবি। সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য বিপণনে সারাদেশে তাদের ডিলার রয়েছে। অন্যান্য পণ্য বিক্রি করলেও আগে কখনো চাল বিক্রি করেনি টিসিবি। তবে ওএমএসের মাধ্যমে খোলাবাজারে চাল বিক্রি করে আসছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান খাদ্য অধিদপ্তর। ওএমএসের ডিলারের কাছ থেকে একজন ক্রেতা ১৫ টাকা কেজিতে চাল ও ১৮ টাকা দরে আটা কিনতে পারছেন।
এদিকে ভোক্তা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতিতে সংসারের খরচের চাপ কমাতে টিসিবির চালে কিছুটা স্বস্তি পাবে মানুষ। কারণ ঢাকার বাজারে এখন মোটা চালের দামও কেজিপ্রতি ৫৫ টাকায় উঠেছে। যা এক মাস আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। শুধু মোটা চাল নয়, চিকন ও মাঝারি চালের দামও বেড়েছে।
টিসিবির হিসাবে, বাজারে এখন এক কেজি চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৮০ টাকা দরে। মাঝারি চাল ৫৫-৬০ টাকা এবং মোটা চাল ৫৫-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে চাল দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষ সুফল পাবে। তবে গরিবদের টিসিবির কার্ডধারী বানাতে হবে।এক্ষেত্রে আবার রয়ে গেছে কিছু সমস্যা। এখনও অধিকাংশ গরিব মানুষ কার্ড পাননি।