ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: নওগাঁর বিভিন্ন মোকামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা কমেছে সরু চাল। তবে মোটা চালের দাম স্থিতিশীল। সে হিসেবে মোকামে ৫০ কেজির বস্তায় কমেছে ১০০-১৫০ টাকা। এতে করে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা কমায় ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
শহরের খাস-নওগাঁ মহল্লার বাসিন্দা রিকশাচালক শাহ জাহান আলী বলেন, গরীবদের কোনো কোনো দিকেই সুখ নাই। চালের দাম কমলো তো তেলের দাম বাড়ল। এছাড়া শাক-সবজি, মাছসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুর দাম বেশি। দিনে যে টাকা ভাড়া হয় তা দিয়ে পরিবারের চার সদস্যের চলা কঠিন হয়ে পড়ছে।
খুচরা চাল ব্যবসায়ী মহাদেব চন্দ্র বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সরু চাল ৩-৪ টাকা কমেছে। জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৬৬ টাকায়। যা আগে ছিল ৭০ টাকা। ৭৫ টাকার কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকা। তবে মোটা চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
নওগাঁ শহরের পৌর খুচরা চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার বলেন, একটি মহলের কারণে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তবে সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করায় তাদের অসৎ উদ্দেশ্য বানচাল হয়ে গেছে। এ কারণে চালের বাজার নিম্নমুখী।
নওগাঁ সদরের মেসার্স ফারিয়া রাইচ মিল মালিক শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, চালকলগুলোতে সরকার অভিযান করায় চালের বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহ আগে পাইকারি মোকামে কাটারি চালের ৫০ কেজি বস্তার দাম ছিল ৩৬০০-৩৭০০ টাকা। সেটি এখন ৩৩০০-৩৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিরাশাইল ছিল ৩৪০০-৩৫০০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩২০০-৩৩০০ টাকায়। ব্রিআর-২৮ ছিল ২৮০০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৬০০-২৭০০ টাকায়।
জেলার চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, মোকামে চালের ক্রেতা সংকট। অপরদিকে বাজারে ধানের দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ধান-চালের দাম কমতে শুরু করেছে।
নওগাঁ ধান-চাল আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোধ বরণ সাহা চন্দন বলেন, সেপ্টেম্বর মাস থেকে সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আবার কিছুদিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। এছাড়া সরকার চালে আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এসব কারণে পাইকারি মোকামে ক্রেতা সংকট হওয়ায় চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী। তবে চাল সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।