অনলাইন ডেস্কঃ
প্রতিবছর ঈদুল আজহার আগে গরমমসলার চাহিদা বেশি থাকলেও করোনার কারনে এবার গরমমসলার বাজারে উল্টো চিত্র। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা ও দাম কম থাকায় দেশের খুচরা এবং পাইকারি বাজারেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমদানিনির্ভর এ পন্যের পর্যাপ্ত মজুত থাকায় দাম কমার কারন বলছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অমর কান্তি দাশ, রোজার ঈদের আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে তাঁদের সংগঠন থেকে দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই দামের চেয়েও অনেক বেশি কমেছে মসলার দাম। ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদা থাকলেও দাম বাড়বে না। কারণ, মসলার পর্যাপ্ত মজুত আছে।
ব্যবসায়ীরা বলছে, দেশে মোট আট ধরনের গরমমসলার চাহিদা আছে। এগুলো হলো এলাচ, জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, জায়ফল,জয়ত্রী ও তারকা মৌরি বা তারা মসলা, যার ৮২ শতাংশই আমদানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আর বাকী ১৮ শতাংশ আসে ভারত হয়ে।
করোনার আগে পাইকারি পাইকারি বাজারে এলাচের দাম ছিল চার হাজার টাকার আশেপাশে। করোনার কারনে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪২০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়। ৩৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হওয়া জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫৫-২৬০ টাকায়। প্রতিকেজি গোল মরিচের দাম কমেছে ৪০ টাকা। দাম কমে প্রতিকেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়।
মসলা আমদানিকারক ফারুক ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার ফারুক আহমেদ বলেন, গরমমসলার বাজার এখন আর গরম নেই। চার মাস ধরে বিয়ে, মেজবান, করপোরেট অনুষ্ঠান হচ্ছে না। রেস্তোরাঁ খুললেও আগের মতো চাহিদা নেই। আবার ঈদুল আজহায় অনেক মানুষ কোরবানি করবে কি না, তা–ও নিশ্চিত নয়। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা এখন লোকসানে বিক্রি করছেন।