অনলাইন ডেস্কঃ
জাপানী ৮৭টি কারখানা থেকে তাদের কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে। এদের মধ্যে ৫৭টি জাপানে ফিরে যাচ্ছে। বাকী ৩০টি কোম্পানি যাচ্ছে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন সহ বিভিন্ন দেশে। কারখানা স্থানান্তরের জন্য এপ্রিল মাসে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার সহায়তা ঘোষনা করেছে জাপান সরকার।
জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বলছে, যেসব কোম্পানি চীন ছাড়ছে এসব কোম্পানি সাত হাজার কোটি জাপানি ইয়েন সহায়তা দেওয়া হবে।
সব রকমের পন্য সস্তায় ও কম খরচে তৈরি করতে গত তিন দশকে চীনে পাড়ি জমায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জাপানি বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি। চীনে তৈরি বেশির ভাগ পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক দিতে হচ্ছে। সম্প্রতি চীন-যুক্তরাষ্ট বাণিজ্যযুদ্ধের কারনে এখন অনেক কোম্পানি তাদের কারখানা চীন থেকে সরিয়ে অন্য কোন দেশে স্থানারন্তরের পরিকল্পনা করছে। আবার করোনা মহামারীর শুরুর পর থেকেই চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাচ্ছে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) বলছে, ৩০টির মধ্যে ১৫টি কোম্পানি ভিয়েতনাম, ৬টি থাইল্যান্ড, ৪টি মালয়েশিয়া, ৩টি ফিলিপাইন, ২টি লাওস, ১টি ইন্দোনেশিয়া এবং ১টি মিয়ানমার যাচ্ছে (দুটি কোম্পানি কারখানা দুই দেশে নিচ্ছে)।
জাপানী বিনিয়োগ আকর্ষণে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ। জাপানীদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান আছে। ২০২১ সালে কারখানাটি চালুর কথা রয়েছে। এছাড়া জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সহায়তায় বিনিয়োগকারীদের জন্য এক দরজায় সেবা বা ওয়ান স্টপ সার্ভিসও চালু করেছে বেজা।