ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বাজারে চিনি নেই। খুচরা দুই-এক দোকানে মিললেও সরকার নির্ধারিত দামের থেকে অনেক বেশি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ভোক্তাদের জিম্মি করে একে অন্যের উপর দোষা চাপিয়ে চিনির বাজারে কারসাজি চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বাজারে চিনির কৃত্রিম সংকটর মধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি গুদামে অবৈধভাবে মজুত করা ৫০ বস্তা চিনি উদ্ধার এবং জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল।
অভিযানে দেখা যায়, মাওনা চৌরাস্তা এলাকার মায়ের দোয়া বাণিজ্যলায় নামের একটি প্রতিষ্ঠানের গুদামে ৫০ বস্তা চিনি অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছে। অবৈধভাবে মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ অনুসারে ৫০ হাজার জরিমানা করা হয়।
পরে জব্দকৃত চিনি উপস্থিত ভোক্তাদের মাঝে সরকারি দামে বিক্রি করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে জব্বর মণ্ডল বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চিনির সংকটের কথা আমরা শুনছি। চিনি সংকটের বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারী এবং ডিলারদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। তারা আবার মিল এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর দোষ চাপাচ্ছিল। পরে আমরা চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নামি। তারই অংশ হিসেবে আজ মাওনা চৌরাস্তা এলাকার মায়ের দোয়া বাণিজ্যলায়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত করা ৫০ বস্তা চিনি উদ্ধার করি। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান অব্যহত থাকবে।