ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সারাদেশে চালের বাজারে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। ফলে বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড-২০২২ এর লোগো উন্মোচন এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি।
তবে বাজারের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। চালের দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিনিকেট চালের কেজি ৬৮ থেকে ৭২, বিআর-২৮ জাতীয় চাল ৫২ থেকে ৫৬ এবং পাইজাম জাতীয় চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
বাজারের এই দরের সঙ্গে প্রায় মিল দেখা দেখা গেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনন্দিন বাজার দরের প্রতিবেদনের তথ্যের। সংস্থাটির তথ্যে দেখা গেছে, সরু (নাজির, মিনিকেট) চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭২, মাঝারি (পাইজাম, লতা) চাল ৫২ থেকে ৫৬ এবং মোটা (স্বর্ণা, চায়না ইরি) চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়।
সম্প্রতি বাজারে চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুন থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার-সংরক্ষণ অধিদপ্তর সারাদেশে চালের বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে। যেদিন থেকে অভিযান শুরু হয়েছে সেই দিনের মাঝারি ও মোটা চালের দর এখনও বিদ্যমান রয়েছে। তবে নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের কেজিতে দাম আরও দুই টাকা বেড়েছে।
এদিকে চালের বাজারে এখনও অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। গতকাল সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের ফুড গ্রেইন লাইসেন্স না থাকা ও অবৈধ মজুত রাখায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া চালের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকায় প্রদর্শন করা মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে চাল বিক্রি করা, ক্যাশ মেমো সংরক্ষণ না করা, আগের কম দামে কেনা চালের মূল্য এক দিনের ব্যবধানে অস্বাভাবিককভাবে বাড়ানোসহ নানা অপরাধে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।