অনলাইন ডেস্কঃ ভারতের ট্রানজিট পন্যের প্রথম চালান থেকে ৬৯৪ ডলার বা প্রায় ৫৮ হাজার টাকা আয় করছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার ‘এমভি সেঁজুতি’ জাহাজে করে ভারতের চালান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের সড়কপথ ব্যাবহার করে প্রথমবারের মত ট্রানজিট পণ্য পরিবহনের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। এ খাতে প্রতিটনে সরকারের আয় হবে ৫৮৯ টাকা। তবে সরকারী আয়ের বাইরেও থাকছে বেসরকারি খাতে পণ্য পরিবহন সেবাবাবদ আয়। সরকারী-বেসরকারি মিলে ট্রানজিটের মাধম্যে টনপ্রতি পণ্য পরিবহন খরচ দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৩০৮ টাকা।
জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ট্রানজিট পণ্য পরিবহন শুরু হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। তবে যে ধরনের সেবা দেওয়ার কথা, তা ভালোভাবে দেওয়া হলে এই পথটি নিয়মিত ট্রানজিট পথ হিসেবে ব্যবহার হবে। এতে উভয় পক্ষেরই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পথে পণ্য পরিবহন কী পরিমাণ হবে, তা নির্ভর করছে এ মুহূর্তে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পথটি কতটা আকর্ষণীয়, তার ওপর।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসেব বলছে, এই রুটে ট্রানজিটে প্রতি চালানের প্রসেসিং মাশুল ৩০ টাকা, প্রতি টনের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট মাশুল ২০ টাকা, নিরাপত্তা মাশুল ১০০ টাকা, এসকর্ট মাশুল ৫০ টাকা, কনটেইনার স্ক্যানিং মাশুল ২৫৪ টাকা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক মাশুল ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।