জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের সময় পূর্বের গেইটটি কিছুটা উত্তর দিকে সরিয়ে পুন:নির্মাণ করা হয়। যেখানে সদরঘাট থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে ছেড়ে যাওয়া লোকাল বাস টার্মিনাল। এক কথায় বলতে গেলে তাদের দখলেই আছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় গেইট।
সমাবর্তন দুই বছর পার হয়েছে কিন্তু এর মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় গেইট টি ব্যবহার করা হলেও এখন ঠিকমতো একদিন ও খোলা হয় না।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল বলেন, ‘আমি ওয়ারী থেকে ক্যাম্পাসে হেটে আসি ক্লাস করার জন্যে। অনেক সময় হাতে সময় কম থাকে। গেইটটি খোলা থাকলে সহজেই আমরা এখান দিয়ে প্রবেশ করতে পারি। করোনার পূর্বে গেইটটি খোলা রাখলেও এখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলেও গেইটটি বন্ধ রাখা হচ্ছে। গেইটটি খুলে দেওয়ার জন্যে দাবি জানাচ্ছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল হকের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। বাইরের লোকজন ক্যাম্পাসে প্রবেস করে প্রসাব করে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় শুধু খোলা হবে বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছে। যদি শিক্ষার্থীরা চায় তাহলে দরখাস্ত দিতে বলো। কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সকল শিক্ষার্থীদের মেইনগেইট পার হয়ে ক্যান্টিন ঘুরে ক্লাসে আসতে হয়, এতে তাদের সময় ও শ্রম দুটিই অপচয় হয়।’
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারাও চাচ্ছে যেন গেইটটি খুলে দেওয়া হোক, এতে তাদের বাইরে থেকে ক্লাসে ফিরতে সময় নষ্ট হবে না।
তবে শিক্ষার্থীরা কিছু নেতিবাচকদিকের কথাও বলেছেন যে গেইটের ওইখানে পান সিগারেট বিক্রেতাদের কারনে একটি হযবরল পরিবেশ ও তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি গেইটটি খুলে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সেদিকেও খেয়াল রাখার অনুরোধ জানান অনেকে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অফিস সময় অনুযায়ী গেইটটি খোলা থাকার কথা, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে গেইটটি অবশ্যই বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, গেইট বন্ধের কোন নির্দেশনা নেই হয়তো নিরাপত্তাকর্মীরা গেইটটি খুলে না।’