অনলাইন ডেস্কঃ
করোনার কারনে সঞ্চয় পত্রের নিট বিক্রি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। অর্থনৈতিক সংকটের কারনে অনেকেই সঞ্চয়পত্র ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১১ মাসে (জুলাই-মে) নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে মাত্র ১১ হাজার ১১ কোটি টাকার।
সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সামছুন্নাহার বেগম বলেন, ‘এ বছর অনেকের বিনিয়োগের সময়সীমা শেষ হয়েছে (ম্যাচিউরড)। এখন যেহেতু কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) লাগে এবং নতুন নতুন শর্তও রয়েছে, ফলে নতুন করে বিনিয়োগে অনেকেই এগিয়ে আসছেন না। আর কোভিড-১৯–এর একটি প্রভাব তো আছেই। যদিও এই পরিমাণটা বেশি হবে না। সব মিলিয়েই নিট বিক্রিটা এবার কম। তবে সরকারের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা আমরা ঠিকই অর্জন করতে পারব।’
সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গেল মার্চ মাসে মোট ৫ হাজার ৬২৪ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। একই মাসে গ্রাহক মোট ৪ হাজার ৮৭ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়েছেন। এপ্রিল মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রিত পরিমান ছিল মাত্র ৬৬২ কোটি টাকার। ওই মাসে সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়েছেন মোট ১ হাজার ১৬ কোটি টাকার। গেল মে মাসে মোট ৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর বিপরীতে ২ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়েছেন গ্রাহক। মার্চে নিট বিক্রির পরিমান ছিল ১ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। এপ্রিল মাসে প্রকৃত বিক্রি ছিল ঋণাত্মক। আর মে মাসে সঞ্চয় পত্রের নিট বিক্রির পরিমান ছিল ৪৩০ কোটি টাকা।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমার কারণ মূলত দুটি। একটি হচ্ছে, ধনী লোকেরা এখন আর সঞ্চয়পত্রে খুব বেশি টাকা রাখতে পারছেন না। অন্যটি, করোনার কারণে সাধারণ লোকের সঞ্চয়পত্র কেনার সক্ষমতা কমে গেছে। তাই তাঁরা এখন সঞ্চয়পত্রসহ নানা ধরনের সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন।