ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হলো। রোববার বিকেল ৩টার দিকে শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় এবারের বিজ্ঞান মেলা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে রাবি সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি আবিদ হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ রেফারেন্স ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের মহাপরিচালক ড. মালা খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিন জালাল উদ্দিন সরকার, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের ডিপুটি ডিসপ্লে অফিসার সৈকত সরকার, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসান প্রমুখ।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন আরা নিশুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জহুরুল ইসলাম মুন। এরপর অতিথিরা স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মালা খান বলেন, ‘আমরা সবাই বিজ্ঞানী। মা ভাত রান্না করেন শর্করার চাহিদা পূরণের জন্য, মাছ-মাংস রান্না করেন প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য, শাক রান্না করেন ভিটামিনের চাহিদা পূরণের জন্য। আমাদের পিতামাতারাও একরকম বিজ্ঞানী। বর্তমানে সময়ে ধারণা করা হয়, মানুষ বিজ্ঞান বিমুখী। কিন্তু বিষয়টা এরকম না। এখন সবাই বিজ্ঞান নিয়ে ভাবে, কাজ করে। সব কাজের মধ্যেই বিজ্ঞান নিহিত।’
এবারের বিজ্ঞান মেলায় ১০টি আয়োজন ছিল। দুই হাজার শিক্ষার্থী তাতে অংশ নেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে ৭৮ জন বিজয়ীকে ক্রেস্ট, সনদ, টি-শার্ট এবং চ্যাম্পিয়নদের প্রাইজ মানি দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দিন বিজ্ঞান প্রজেক্ট শো কমপিটিশন, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, ওয়াল ম্যাগাজিন, সায়েন্টিফিক স্পিচ কম্পিটিশন, রুবিক্স’স কিউব, পেইন্টিং কম্পিটিশন, তিন মিনিট থিসিস প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল স্টার ভিজুয়ালাইজেশন, থ্রিডি, ফোরডি, সিক্সডি এবং নাইনডি মুভি শো এবং স্টেজ সায়েন্স শো দেখার সুযোগ।
২০১৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে বিজ্ঞান প্রচার ও প্রসারে কাজ করছে ক্লাবটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে শুরু হওয়া সায়েন্স ফিয়েস্টা বর্তমানে বিজ্ঞানপ্রেমীদের জন্য এক জনপ্রিয় আয়োজন। প্রতিবছর কয়েক হাজার বিজ্ঞানপ্রেমী অংশ নেয় জনপ্রিয় এ সায়েন্স ফিয়েস্টায়।