ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম আরেক দফা বেড়েছে। তাতে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি প্রায় ৩০০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ৪০০ টাকার কাছাকাছি চলে গেছে। এই দুই ধরনের মুরগির জন্য এই দাম এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। রমজানে পণ্যের দাম আর বাড়বে না, সরকারের পক্ষ থেকে এমন আশ্বাস দেওয়া হলেও রোজার আগেই বাড়তে শুরু করেছে মুরগিরসহ নিত্যপণ্যের দাম।
এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাজার পর্যবেক্ষণে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচা বাজার, মুরগীর বাজার, মাছের বাজার, অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে যৌথ ভাবে এ তদারকি করা হয়।
এ সময় ক্রয়কৃত দাম ও বিক্রিত দামের বিষয়ে যাচাই করা হয় এবং বেশি দামে পণ্য বিক্রি থেকে বিরত থাকতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানানো হয়।
তদারকি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ব্যবসায়ী নেতারা।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে, এফবিসিসিআই, দোকান মালিক সমিতি এবং সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির মাধ্যমে যৌথ ভাবে বাজার তদারকি করছি। আসন্ন রমজানে যদি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে, তাহলে এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতিকে নিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ভাবেই যাতে বাজার অস্থির না হয়, সে বিষয়ে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে অনেক পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পণ্যের কোন ঘাটতি নেই। ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। কিন্তু এই দাম ২০০ টাকার উপরে হওয়ার কথা নয়। অথচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, অর্থাৎ ৮০ টাকাই বেশি।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে মুরগীর দাম নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এ বিষয়ে আমরা আটটি সুপারিশ দিয়েছি সরকারের কাছে। আশা করি, ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনায় মুরগির বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
গত ০৯ মার্চ পোলট্রি খাতের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। তখন ব্রয়লার মুরগির দাম না কমলে আমদানির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। কিন্তু তারপরও আরেক দফা বাড়লো মুরগিরর দাম।