নিজস্ব প্রতিবেদক: সত্তর দশকে গার্মেন্টস শিল্পে প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু বাংলাদেশের। ১৯৭৮ এ কোরিয়া গিয়ে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ১৩০ বাংলাদেশি। দেশ গার্মেন্টসের সাথে কোরিয়ার দ্যায়ু কর্পোরেশনের যৌথ বিনিয়োগে বৃহৎ পোশাক কারখানা চালু হয় তখন। তারপর থেকে এ খাতে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ, এখন সারা পৃথিবীতেই গর্বের নাম, মেইড ইন বাংলাদেশ বিদেশি কারখানা হিসেবে পোশাক খাতে এখনো সবচে বড় বিনিয়োগ কোরিয়ান কোম্পানির। রাষ্ট্রদূত বলছেন, অন্য খাতেও ইতিহাস গড়তে চায় তার দেশ।
বাংলাদেশে পঞ্চম সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশটির রাষ্ট্রদূত বলছেন, ‘এক দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বাড়াতে চায় তারা। তবে দেশটির বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান কোরিয়ান দূত।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবকাঠামো তৈরিতে কোরিয়ার অনেক কোম্পানি বিশেষভাবে আগ্রহী। স্যামসাংয়ের কারখানায় কেবল ফোন নয়, ফ্রিজ, এসি সহ অন্যান্য সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। এর ফলে বড় ধরনের প্রযুক্তি বিনিময়ও হচ্ছে দু’দেশের মধ্যে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ঝ্যাং কিউন বলেন, ‘গার্মেন্টসে আমাদের বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক এবং বড় অংশ জুড়ে। আমরা এদেশে অন্য খাতেও এরকম সফলতার গল্প তৈরি করতে চাই। অবকাঠামো আর প্রযুক্তি খাতে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু তৈরি করেছিল কোরিয়ান কোম্পানি হুন্দাই কর্পোরেশন। পাশাপাশি অনেক রাস্তাঘাট, সেতু, হাসপাতালসহ অবকাঠামোতে যুক্ত আছে দেশটি। এরই মধ্যে স্যামসাং পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে বাংলাদেশে।’
২০২১ এ দেশে সবচে বেশি বিনিয়োগ এসেছে যে পাঁচ দেশ থেকে তার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া পঞ্চম। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে সামগ্রিক বিনিয়োগ প্রবাহে যুক্তরাজ্য আর চীনের পরই কোরিয়ার অবস্থান। তবে এখনো বিনিয়োগে ঝামেলা পোহাতে হয় বলে উল্লেখ করে লি ঝ্যাং বলেন, এদেশে শুল্ক আর কর অনেক বেশি। সবচে বড় কথা, বিনিয়োগ করতে এসে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা মেটাতে নষ্ট হয় অনেক সময়। এর ফলে অশ্চিয়তা বাড়ে। পাশাপাশি বিদেশিরা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সমান সুবিধা চান। আবারো পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে দক্ষিণ কোরিয়ার আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।