মহাখালীতে হাজারো যাত্রী, দেখা নেই বাসের

অবজারভার অনলাইন ডেস্ক: আর মাত্র একদিন পরই ঈদ-উল-আজহা। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটির প্রথম দিনেই রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে মানুষের চাপ বাড়ে সকাল থেকেই।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর অনান্য টার্মিনালের মতোই মহাখালীতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। তবে যাত্রীর তুলনায় নেই বাস।  

মহাখালী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু টার্মিনালে কোন গাড়ি ঢুকছে না। সময় মতো গাড়ি না আসায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায় নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদের। বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে অনেককেই পত্রিকা বা গামছা বিছিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তেও দেখা যায় এ সময়। আবার অনেকে বাস না পেয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে রওনা হয়েছেন বাড়ি পথে।

টাঙ্গাইল যাবার জন্য নিরালা বাসের কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মুরাদ আহমেদ নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। সাড়ে ৬টা বেজে গেছে কিন্তু বাস নেই, তাই টিকিট দিচ্ছে না। কাউন্টারে লোকও নেই। বাসের বিষয়ে কোন তথ্য জানার সুযোগও নেই।’

আরেক যাত্রী মামুন বলেন, ‘এখানে গাড়ি না পেলে গাজীপুরের চৌরাস্তা দিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হবে। ব্যাগ নিয়ে ভেঙ্গে যেতে কষ্ট হবে। তবুও তো যেতে হবেই।’

কিছুক্ষণ পর তিনি লাইন ছেড়ে চৌরাস্তার উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করেন।

ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য অপেক্ষারত রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি ভোর ৪টা থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। টার্মিনালে কোন গাড়ি ঢুকছে না, টার্মিনাল থেকে কোন গাড়ি ছাড়ছেও না। কাউন্টার থেকে একেক সময় একেক কথা বলছে।’

টার্মিনালে এনা পরিবহনের কাউন্টারের সামনে লাইন ধরে শত শত নারী এবং পুরুষদের টিকেটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি করতে দেখা যায়নি।  

টার্মিনাল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতে যে বাসগুলো বিভিন্ন গন্তব্য গেছে, সেগুলো জ্যামের কারণে এখনো ফিরে আসতে পারেনি। তাই বাসের এমন সংকট দেখা দিয়েছে।  

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি পর্যন্ত যাতায়াতকারী বিনিময় পরিবহন অন্যান্য সময় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া নিলেও ঈদের কথা বলে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন যাত্রী।  

অন্যান্য বছর যেখানে ঈদের সময় মহাখালী বাস টার্মিনাল সবখানেই বাস ঠাসাঠাসি অবস্থায় দেখা যায়, টার্মিলান ছাপিয়ে রাস্তার ওপরেও বাস থাকতে দেখা গেলেও, সেই তুলনায় এবার টার্মিনালে বাসের সংখ্যা নেই বললেই চলে। পুরো টার্মিনাল ঘুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল রোডে চলাচলকারী একটি বাসের দেখাও মেলেনি।