পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে যেসব সমস্যা হতে পারে

সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম জরুরি। আর এ কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা সবাইকে ঘুমাতে হয়। ঘুমানোর ফলেই শরীরে মেলে বিশ্রাম। শুধু বিশ্রাম নয়, বরং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও হয় ঘুমের মাধ্যমে। নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে একজন মানুষ ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন যার কারণে একটি সুন্দর জীবনও বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন,‌‌‌‘ ঘুমানোর পর শরীর আপনার অজান্তেই একের পর এক কাজ করতে থাকে। এ সময় শরীরে নানা সমস্যার সমাধান করে। এ ছাড়াও ঘুমের সময় সচেতন মস্তিষ্ক বিশ্রাম নেয়। তবে তার পেছনেও চলতে থাকে একাধিক কাজ। মস্তিষ্ক সারাদিনের অপ্রয়োজনীয় সব তথ্য মাথা থেকে সরিয়ে দেয়। এই শারীরিক ও মানসিক কাজের মিলনেই সকালে ওঠার পর সুস্থবোধ করেন সবাই।’ তবে জীবনযাত্রায় অনিয়মের ফলে বর্তমানে কমবেশি সবাই খুব কম ঘুমান। সারাদিন কর্মব্যস্ত সময় পার করার পর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, তার প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে একসময় শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে বিভিন্ন রোগ।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে-

১. ঘুমের মাধ্যমে শরীরের বিপাক ক্রিয়া সরাসরি নিয়ন্ত্রিত হয়। ঘুমের অভাবে এই বিপাক ক্রিয়া কেটে যায়। ফলে হার্টেও এর প্রভাব পড়ে। তাই কম ঘুমানোর সঙ্গে হৃদরোগের যোগসূত্র পাওয়া গেছে।
২. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ঠিকমতো ঘুমান না, তারা মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। সেক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে রাগ, দুশ্চিন্তা, অবসাদ ইত্যাদি। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
৩. গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুম কম হলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই সতর্ক হওয়া জরুরি।
৪. ঘুম কম হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ঘুমের মাধ্যমে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিক থাকে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমানো জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার। এর থেকে বেশি হলে তেমন ক্ষতি নেই। তবে এর থেকে কম হলে দেখা দিতে পারে মারাত্মক সমস্যা।