ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: পানি ছাড়া বেঁচে থাকাটা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে পানি পানের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে? বিশ্বের প্রায় ৪৫-৫০ শতাংশ মানুষেরই এই বিষয়ে কোনও জ্ঞান নেই। ফলে পানি পান করে সবাই তেষ্টা তো মেটাচ্ছে কিন্তু সেই সঙ্গে শরীরেরও মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলছে। যেমন ধরুন, কখনই দাঁড়িয়ে পানি পান করা উচিত নয়। সারাদিন আমরা এত ব্যস্ত যে, কোনকিছুর জন্যই একটু বেশি সময় বরাদ্দ নেই। এই অবস্থায় বেশিরভাগ মানুষই পানিপান করেন দাঁড়িয়ে। শুধুমাত্র খাবার খাওয়ার সময়ই বসে পানিপান করেন অনেকেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাঁড়িয়ে পানিপান করার অভ্যাস নিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। কারণ এর থেকে নাকি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই থাকতে হবে সতর্ক।
পানি কেন বসে পান করতে হবে?
বসে পানিপান করতে পারলে শরীরের বেশি উপকার হয়। কারণ বসে পানিপান করলে শরীর পানি ঠিকমতো গ্রহণ করে। এর ফলে কোষেকোষে পৌঁছে যায় পানি। এমনকী বাড়তি পানি শরীরের ক্ষতিকারক পদার্থকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। তাই প্রতিটি মানুষেরই উচিত বসে পানিপান করা।
কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
দাঁড়িয়ে পানিপান করলে হাড়ে এসেও চাপ পড়ে। এরফল ভোগ করে মানুষ। এক্ষেত্রে যাদের আর্থ্রাইটিসের সমস্যা রয়েছে তারা বেশি সমস্যায় পড়েন।
দাঁড়িয়ে পানিপান করলে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা যায়। কিডনিতেও চাপ পড়ে, তাই কিডনিকে বেশি কাজ করতে হয়। এজন্য প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
দাঁড়িয়ে পানিপান করলে সরাসরি পানি পৌঁছে যায় পাকস্থলীতে। এর ফলে পাকস্থলীতে বিশাল চাপ পড়ে। এমনকী হজমেও দেখা দেয় সমস্যা। তাই যাদের গ্যাস বা হজমের অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তারা কোনভাবেই দাঁড়িয়ে পানিপান করবেন না।
আপনি দাঁড়িয়ে পানিপান করার সময় শ্বাসনালীর মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে ফুসফুসে। তাই আপনাকে অবশ্যই ফুসফুসের সমস্যা দূরে রাখতে বসে পানিপান করতে হবে।
দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পানি খেলে তা সরাসরি ইসোফেগাসে গিয়ে ধাক্কা মারে। ফলে এমনটা হতে থাকলে এক সময়ে গিয়ে ইসোফেগাস এবং পাকস্থালীর মধ্যেকার সরু নালীটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে “গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজজ” বা ডি ই আর ডি-এর মতো রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে।
বসে থাকাকালীন পানি পান করলে পেটের অন্দরের সব পেশী এবং নার্ভাস সিস্টেম অনেক বেশি রিল্যাক্সিং স্টেটে থাকে। ফলে হজম ক্ষমতা বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। কিন্তু যদি দাঁড়িয়ে কিছু খাবার খান বা পানি পান করেন, তাহলে কিন্তু একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।