ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার মেয়াদ নভেম্বরে শেষ হবে। ওই সময়ের পর চাইলেও প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারবে না কেউ। এছাড়া নতুন করে টিকা কেনার সম্ভাবনাও কম।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক এ তথ্য জানান।
দেশে বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের দেড় কোটি টিকা মজুত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা এখনো এই দুই ডোজ গ্রহণ করেননি, দ্রুত তাদের নিয়ে নেওয়া উচিৎ। বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা টিকার মেয়াদ নভেম্বরে শেষ হবে। কোন টিকা ২১, কোন টিকা ২৩, কোন টিকা ৩০ নভেম্বরের পর আর ব্যবহার করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখনো ৩৩ লাখ মানুষ প্রথম ও ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেননি। তবে বুস্টার ডোজের টিকার পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।’
শামসুল হক বলেন, ‘টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের গড়িমসি লক্ষ্য করা গেলেও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এখনো সাড়ে ছয় কোটি মানুষ বুস্টার ডোজ নেননি। টিকা গ্রহণে মানুষের সাড়াও কম মিলছে।’
তিনি বলেন, ‘অগাস্ট থেকে শুরু হবে ৫ থেকে ১১ বছর বসয়সীদের টিকা কার্যক্রম। এ জন্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে টিকা পাবে চার কোটি ২০ লাখ শিশু।’
এর আগে ৭৫ লাখ বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ১৯ জুলাই বুস্টার ডোজ দিবস পালন করে সরকার। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
দিবসটিতে সকাল ৯টা থেকে সারা দিনে বুস্টার ডোজ নেন ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার তিন জন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪১০ জন পুরুষ ও ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯৩ জন নারী বুস্টার ডোজ নেন।
বর্তমানে দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন ও জনসনের টিকা দিচ্ছে সরকার।