ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চাঁদার দাবিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ধর্মঘট চলছে।
রোববার সকাল থেকে শহরের বনরুপা, দোয়েল চত্বর, কলেজ গেট, তবলছড়ি ও রিজার্ভ এলাকায় ধর্মঘট পালন করছেন চালকরা। বনরুপায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করতে দেখা গেছে।
শহরের একমাত্র গণপরিবহন অটোরিকশা চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গাড়ি না পেয়ে চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন।
তবে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা এই ধর্মঘটের আওতার বাইরে রয়েছে। দূরপাল্লার বাস চলাচল ও অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
স্কুলগামী শিক্ষক মো. রানা বলেন, ‘অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি যৌক্তিক, কিন্তু তাদেরও আমাদের কথা চিন্তা করা প্রয়োজন। এখন বিদ্যালয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে। কলেজ গেট থেকে হেঁটে বনরুপায় এসেছি। আগে থেকে জানলে আমাদের সুবিধা হতো। বিকল্প ব্যবস্থা করা যেত।’
এসএসসি পরীক্ষার্থী তারেক মাসুদ বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে যাতায়াতের ব্যবস্থা রেখেছেন।’
অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু জানান, শনিবার রাতে রাঙামাটির শহরে রাঙাপানি এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর এবং এর আগে শুক্রবার সকালে চাঁদার টোকেন না থাকায় আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে একটি অটোরিকশায় আগুন দেয় দুর্বত্তরা। তারই প্রতিবাদে ধর্মঘট চলছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবারের ঘটনার পর প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে তিন দফা দাবিও জানানো হয়েছিল। সড়কে নিরপত্তার দাবি জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বেলা ১১টায় সভা ডেকেছি। সব পক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান বের করার চেষ্টা করতে হবে।’