রমজানে খাদ্য পণ্যের বাড়তি চাহিদাকে কেন্দ্র করে আসন্ন রমজান কে সামনে রেখে শুরু হয়েছে খাদ্যের মজুদ। এর মধ্যে ছোলা, চিনি, ভোজ্য তেল, মসুর ডাল, মটরের চাহিদা থাকে একটু বেশি। এক বিক্রেতারা জানান, এবার ছোলা প্রচুর মজুত ও আমদানি হচ্ছে। ফলে ছোলার দাম বাড়বে না। তবে মসুর ও মটর ডালের দাম বাড়তে পারে। এসব পণ্য আমদানি খরচ বেশি পড়ছে। এরই মধ্যে কিছু পণ্য দেশে পৌঁছেছে। আর পাইপলাইনে রয়েছে প্রচুর।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেল, চিনি, মসুর ডাল ও মটর ডালের দাম টনে ২৫০ থেকে ৫০০ ডলার বাড়তি। ফলে দেশীয় বাজারে সামনে তার প্রভাব পড়তে পারে। তবে পণ্য প্রচুর আমদানি হচ্ছে। বাজারে চাহিদার ঘাটতি হবে না। টিসিবি স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ না করে সরাসরি আমদানি করলে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী নিয়ন্ত্রণ সহজ হতো।’
দৈনিক ইত্তেফাক থেকে জানা যায়, দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৮ লাখ টন। তার মধ্যে রোজায় চাহিদা থাকে ৩ লাখ টনের। ভোজ্য তেলের বার্ষিক চাহিদা ২১ লাখ টন। তার মধ্যে রমজানের চাহিদা ৪ লাখ টন। মসুর ডালের বার্ষিক চাহিদা ৫ লাখ টন। তার মধ্যে রোজার চাহিদা ৮০ হাজার টন। ছোলার বার্ষিক চাহিদা প্রায় দেড় লাখ টন। এর মধ্যে রোজার চাহিদা ৮০ থেকে ৯০ হাজার টন। পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৫ লাখ টন। এর মধ্যে রোজার চাহিদা ৫ লাখ টন।
টিসিবি সূত্র জানায়, রমজান মাসে যাতে ভোগ্যপণ্যের বাজার বাড়তে না পারে সেই লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আড়াই কোটি লিটার ভোজ্য তেল, ৬০০ টন ছোলা, ১৭ হাজার টন মসুর ডাল ও ১৩ হাজার টন চিনি কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ডিলারদের মাধ্যমে খোলা বাজারে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। টিসিবি চট্টগ্রাম কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরকারিভাবে ছোলা ও মসুর ডাল আমদানি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৭২০ টন ছোলা বন্দরে পৌঁছেছে। আরো পাইপলাইনে রয়েছে। চিনি ও ভোজ্য তেল স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হবে। সামনে খোলা বাজারে ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি বাড়ানো হবে।
পেঁয়াজের বাজার এখন ক্রেতাদের সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। দেশীয় পেঁয়াজ বাজার দখল করে আছে। দেশীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে কেজি ২৮ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ৪০/৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসছে না। টিসিবিও খোলা বাজারে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। রমজানে দেশীয় পেঁয়াজের সংকট হলে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তখন দাম বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।