ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে লাইসেন্সবিহীন ১৭টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগর ও ১৫টি উপজেলায় আজ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ৪৯টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সবিহীন ১৭টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযান আরও তিনদিন অব্যাহত থাকবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের দেশ মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিক, ফেয়ার হেলথ, হেলথ হোমসহ কয়েকটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী। লাইসেন্স না থাকায় এবং অপারেশন থিয়েটারে সনদবিহীন নার্স দায়িত্ব পালন করায় দেশ হাসপাতালসহ দুটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন সিভিল সার্জন। এ ছাড়া নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় হেলথ হোম ও ফেয়ার হেলথ নামে নামে দুটি ক্লিনিককে সতর্ক করে ১০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তাদের কাগজপত্র আপডেট করতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভা ও চাম্বল বাজারে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এ সময় লাইসেন্স না থাকায় ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিনি ল্যাব, মামনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ন্যাশনাল হাসপাতাল (প্রা.) লিমিটেড, জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ফটিকছড়ি উপজেলায় একটি, বোয়ালখালী উপজেলায় একটি, লোহাগাড়া উপজেলায় দুটি, আনোয়ারায় উপজেলায় একটি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় তিনটি হাসপাতাল বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগে গত মে মাসে এক সপ্তাহের অভিযানে ১৫টি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সাতটির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।