ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ রোধে এখনও টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ কার্যক্রম চলছে। যদিও বিশেষ ক্যাম্পেইনের পর এই দুই ডোজ আর পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে গত একদিনে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। অধিদপ্তর বলছে, যৌক্তিক কারণে কেউ টিকা থেকে বাদ পড়ে থাকলে, তাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা রয়েছে। টিকা নিতে আসলে কাউকেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৩ কোটি ৪৭ লাখ ১৬ হাজার ২৯২ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৫১ জন মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছে ৫ কোটি ৭২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৫ জন।
আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৮১০ জনকে। এছাড়াও বুস্টার ডোজ টিকা পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৫৬০ জন। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, টিকা ক্যাম্পেইনে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এখনও টিকা কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর মানুষ আসছে। মানুষের মধ্যে স্পৃহা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, যৌক্তিক কারণে কেউ টিকা থেকে বাদ পড়ে থাকলে তাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা আছে। আমরা হয়তো আর কোনো ক্যাম্পেইনের আয়োজন করবো না। তবে বাদ পড়া ব্যক্তিরা হাসপাতালের নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে। এমনকি এখন যারা প্রথম ডোজ নিচ্ছে, তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৫ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।