ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দিন যত যাচ্ছে শেয়ারবাজারে প্রকট হয়ে উঠেছে ক্রেতা সংকট। এতে কমেছে লেনদেনের গতি। সেই সঙ্গে দিনের লেনদেনের পুরো সময় ক্রেতাশূন্য পড়ে থাকছে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠান। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকার কম হয়েছে।
লেনদেন কমলেও বাজারটিতে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে ক্রেতা সংকটে পড়ে আর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে থাকে লেনদেনের পুরো সময়জুড়ে।
ক্রেতা সংকটে পড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন করে আরও ছয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে। এতে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে।
এমন বিপুল পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার দিনে ডিএসইতে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪টির এবং ২০৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ২১৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
টাকার অংকে বাজারটিতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরডি ফুড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- শাহিনপুকুর সিরামিক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, রুপালি লাইফ ইনস্যুরেন্স, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, জেনেক্স ইনফোসিস, ফাইনফুড ও অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে আটটির এবং ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় সাত কোটি ৯৭ লাখ টাকা।