ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমেছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
দিনের লেনদেন শেষে সবকটি মূল্যসূচকের পতন হলেও লেনদেনের শুরুর চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। লেনদেনের শুরুর দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় সূচকও ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এমনকি লেনদেন শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগেও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে।
তবে শেষ ঘণ্টার লেনদেনে এসে হঠাৎ এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেয়। এতে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় চলে আসে। এতে একদিকে দরপতনের তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি সূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৫৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৯টির এবং ২০৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম কমার তালিকায় স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০টির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ কমে ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) এসে ঠেকেছে। এতে লেনদেন শেষে ২০৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে।
অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২১৩ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
এই লেনদেন বাড়াতে সব থেকে বেশি ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ৪২ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিক হোটেলের ৩৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩২ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, আমরা নেটওয়ার্ক, এডিএন টেলিকম, আমরা টেকনোলজি, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৫টির এবং ৬১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা।