ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গত চার দিনে বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাস, ট্রাক, পিকআপ, লরি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ ১ লাখ ৩১ হাজার ১৭০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
পারপার হওয়া এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ১০০ টাকা। এছাড়া বৃহস্পতিবার (এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে ১৩ হাজার ৭৬৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ১৭০টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ১০০ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে উত্তরবঙ্গের দিকে গেছে ৭৬ হাজার ৯৯২টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ টাকা।
এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ৫৪ হাজার ১৭৮টি যানবাহন সেতু পার হয়েছে। এতে সেতুর পশ্চিম পাড়ে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা। এর মধ্যে ১৭ এপ্রিল সেতুতে গাড়ি পারাপার হয়েছে ২২ হাজার ৪৮৫টি। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা। ১৮ এপ্রিল সেতু পারাপার হয়েছে ৩০ হাজার ২৫১টি পরিবহন। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৫৫০ টাকা। ১৯ এপ্রিল সেতুতে গাড়ি পারাপার হয়েছে ৩৬ হাজার ৬৯টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০টাকা। এছাড়া সর্বশেষ ২০ এপ্রিল সেতুতে বেশি সংখ্যক গাড়ি পারাপার হয়েছে। এতে সেতুতে গাড়ি পারাপার হয়েছে ৪২ হাজার ৩৬৫টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৬৫০ টাকা।
এবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে কোথাও তেমন কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যানবাহন চলাচলে ক্ষণিকের জন্য ধীরগতির সৃষ্টি হলেও পরে সেটি স্বাভাবিক হয়। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ায় মহাসড়কে মানুষের ভোগান্তি তেমন হয়নি। তবে বরাবরের মতো বাড়তি ভাড়া ও যাত্রীবাহী বাস সংকটের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষজন খোলা ট্রাক ও পিকআপে বাড়ি ফিরেছে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে যানজট এড়াতে বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক ব্যাপক কাজে দিয়েছে। এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার মহাসড়ক এক লেন করে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করেছে। এতে যানজট দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, এবার ঈদযাত্রায় ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২৪৯টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে যা সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপারে রেকর্ড। এছাড়া পরিবহনগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।