ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের টবগী-১ অনুসন্ধান কূপের খননকাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কূপটি থেকে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস পাওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বিদ্যু, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০২২-২০২৫ সময়কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে গত ১৯ অগাস্ট ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের টবগী-১ অনুসন্ধান কূপটির খনন শুরু হয়। প্রায় তিন হাজার ৫০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খননের লক্ষ্যে এ কাজ শুরু হয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর তিন হাজার ৫২৪ মিটার গভীরতায় খনন কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। খননের পর কূপে সম্ভাব্য গ্যাস মজুদ ও উৎপাদন হার নিরূপণে গৃহীত কারিগরী পরীক্ষামূলক টেস্টিং (ডিএসটি) কার্যক্রম গত মঙ্গলবার সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ পরিচালিত ডিএসটি কার্যক্রমে ৩২/৬৪ ইঞ্চি চোক সাইজ ব্যবহার করে কূপটি থেকে গড়ে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস ফ্লো টেস্ট করা হয়েছে, যা আশাব্যঞ্জক।
শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড থেকে টবগী-১ কূপ এলাকাটি আনুমানিক তিন দশমিক ১৭ কিমি দূরে অবস্থিত।
ভূতাত্ত্বিক তথ্যাদি এবং ডিএসটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এ অনুসন্ধান কূপে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ প্রায় ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। দৈনিক গড় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হলে কূপটি থেকে ৩০ থেকে ৩১ বছর পর্যন্ত গ্যাস উৎপাদন সম্ভব হবে।
টবগী-১ কূপে গ্যাসের বর্ণিত মজুদ বিবেচনায় গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় আট হাজার ৫৯ দশমিক ০৮ কোটি টাকা, যা এলএনজি আমদানি মূল্য বিবেচনায় বহুগুণ। আগামী ০৭ নভেম্বর কূপটি থেকে উৎপাদনক্ষম করার লক্ষ্যে কূপের কমপ্লিশন এবং ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় আগামী জুন ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও দুটি কূপ (ইলিশা-১ ও ভোলা নর্থ-২) খনন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে তিনটি কূপ থেকে সর্বমোট দৈনিক ৪৬ থেকে ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতে পারে।