ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: নৌযানের যাত্রী ভাড়া ৩০ ভাগ সমন্বয় (বৃদ্ধি) করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে পুনর্নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর হবে বলে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (নৌ রুট, পারমিট, সময়সূচি ও ভাড়া নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৯ এর বিধি ২৭ মোতাবেক সরকার নৌযানে যাত্রী পরিবহনের জন্য কিলোমিটার প্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যাত্রী ভাড়া নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়া নির্ধারণ করলো।
প্রথম ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া দুই টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা বৃদ্ধি করে তিন টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০০ কিলোমিটার অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া দুই টাকা থেকে ৬০ পয়সা বৃদ্ধি করে দুই টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হলো।
জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা থেকে ৮ টাকা বৃদ্ধি করে ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৈশ্বিক দাম বৃদ্ধির কারণে গত ০৫ অগাস্ট রাতে কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোল এবং অকটেনের দাম বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
নতুন দামে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকা করা হয়। এর আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রোল ৮৬ টাকা।
লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির জন্য গত ০৮ অগাস্ট নৌযান মালিক সমিতি বিদ্যমান ভাড়ার দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে প্রস্তাব করেছিল। এ নিয়ে গত ০৮ অগাস্ট সচিবালয়ে নৌ পরিবহন সচিব মোস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। দীর্ঘ আলোচনায় ও সিদ্ধান্ত না মেলায় একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়।
এর আগে তেলের দাম বৃদ্ধির পর গত বছরের নভেম্বরে লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছিল। নভেম্বরের আগে লঞ্চে ১০০ কিলোমিটার মধ্যে দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা। তখন তা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৩০ পয়সা করা হয়েছিল।
১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া নভেম্বরের আগে ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। তা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল ২ টাকা। আর লঞ্চের সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছিল নভেম্বরে।
-টিআই