ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ইসুতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অস্থিরতা চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। আর জ্বালানির এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি মোকাবেলা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।
জ্বালানি সংকটের কারণে সরকারের সিদ্ধান্তে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কমানো হয়েছে। আর এর জন্য এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে এক থেকে দুই ঘন্টা করে। এছাড়াও সরকারি অফিসে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতেও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের আহবান করা হয়েছে।
সরকারের এসব উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন বা জিপি। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় জানানো হয়েছে। তবে কার্যালয় বন্ধ থাকলেও গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় ‘জিপি হাউস’এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে। এদিন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের কর্মীরা হোম অফিস (বাসা থেকে কাজ) করবেন। বর্তমানে সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) জিপি হাউস বন্ধ থাকে।
গৃহীত প্রদক্ষেপে আরও বলা হয়, জিপি’র প্রধান কার্যালয় বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা ছাড়াও গ্রামীণফোন সারা দেশে তাদের চলমান কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রেও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) একটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্ব একটি মারাত্মক জ্বালানিসংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি ও সরবরাহের ঘাটতি অর্থনীতির ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করছে, যার প্রভাব আমাদের জীবনেও পড়ছে। এই কঠিন সময়ে আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।