ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে রাজবাড়ীর চাল ও আটার বাজারে। ফলে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে বাজার। কেজিতে সব ধরনের চালে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা ও আটার কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা পর্যন্ত। এতে বিপাকে পড়েছেন রাজবাড়ীর নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
এদিকে চালের দাম বৃদ্ধির জন্য তেলের দাম ও গত বছরের ধানের স্বল্পতাকে দায়ী করছেন রাজবাড়ীর চাল ব্যবসায়ী নেতারা। ক্রেতারা বলছেন চাল থেকে শুরু করে এখন সব কিছুর দাম বেশি, এভাবে আর চলে না।
চাল দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিম্নআয়ের মানুষসহ প্রায় সব পরিবারেই চাল প্রয়োজনীয় উপাদান। কিন্তু এভাবে দফায় দফায় চালের দাম বাড়ায় হতাশ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা যেমন চাল কম কিনছেন, তেমনি ব্যবসায়ীদেরও বিক্রি হচ্ছে কম। তাছাড়া মোকামেও চাল কম। মোকাম থেকেই বাড়ানো হচ্ছে দাম।
জানা গেছে, রাজবাড়ীর চাল ব্যবসায়ীরা যশোর, রংপুর, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাল আমাদানি করেন। এর বেশির ভাগ আমদানি করা হয় যশোরের ঝিকরগাছা থেকে। বর্তমানে তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরবিহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীতে বাসমতি, মিনিকেট, কাজল লতা, আটাশ, মোটা চালসহ সব চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। খোলা আটা ৪৪ ও প্যাকেটজাত আটা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
রিকশাচালক রফিক ও সাধারণ ক্রেতা আবু বক্কর সিদ্দিকসহ অনেকে বলেন, সারাদিন কাজ করে যে টাকা পান, সে টাকা দিয়ে কিছুই হয় না। সংসারে অনেক খরচ। চালসহ সব কিছুর দামই বেশি। আগে যে দামে চাল নিয়েছেন, এখন বস্তায় (২৫ কেজি) ১ থেকে দেড়শ টাকা বেশি। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য দাম নাগালের মধ্যে আনা উচিত।
চাল ব্যবসায়ী মো. মোস্তফা বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চালের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। এখন মোকামে চাল ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। মোকাম থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারাও হিমশিম খাচ্ছে। দাম শুনে অনেকে ফিরে যাচ্ছে। মোকাম থেকে বেশি দামে কেনার কারণে তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। একইভাবে আটার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজবাড়ী চাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী বেনজির আহম্মেদ বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া ও গত বছরের প্রাকৃতিক দূর্যোগে ধান উৎপাদন কম হওয়ায় রাজবাড়ীতে চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। আগে যেখানে গাড়িভাড়া লাগতো ২০ থেকে ২১ হাজার টাকা, এখন সেখানে লাগছে ২৫ থেকে ২৬ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, মোকামের যে আভাস, তাতে দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন। এ জেলায় বড় বড় মিলার না থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাল আসে। যার কারণেও দাম বেড়ে যায়।