সুরক্ষা অ্যাপ নিয়ে প্রতারণার বিষয়ে সতর্কীকরণ

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর (আইসিটি) জানিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকার বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়াসহ বিভিন্ন রকম প্রতারণা করে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘সুরক্ষা’ তৈরি করেছে আইসিটি অধিদপ্তর। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন প্রতারকচক্র সুরক্ষা অ্যাপের একাধিক ফিশিং ক্লোন সাইট তৈরি করে সনদ জালিয়াতির চেষ্টা করে, যা পরিলক্ষিত হলে আইসিটি অধিদপ্তর বিটিআরসি এ অভিযোগের মাধ্যমে ক্লোন সাইট বন্ধ করে। সুরক্ষা অ্যাপটির লিংক- surokkha.gov.bd টিকা সনদের কিউআর কোড স্ক্যান করলে উক্ত ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোন ডোমেইনে গেলে সে সনদটি ভুয়া/জাল সনদ। প্রতারকচক্র সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নানা রকম বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সাধারণ জনগণকে আইসিটি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সর্তক করে বলা হয়, প্রতারক চক্র থেকে অধিক সতর্ক হোন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা প্রদানে সহায়তা করুন। অনিয়ম বা প্রতারণা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান।

সুরক্ষা সিস্টেমে এখনও পর্যন্ত কোন প্রকার কারিগরি নিরাপত্তাজনিত সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি। সুরক্ষা অ্যাপ ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করার আগে এসকিউটিসি (সফটওয়্যার কোয়ালিটি টেস্টিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন সেন্টার) কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত। সিস্টেমটি সরকারের কেপিআই প্রতিষ্ঠান এনডিসিতে (ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার) অত্যন্ত সুরক্ষিত ভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী সুরক্ষা অ্যাপ ব্যবহারের নিমিত্ত ইউজার আইডি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধির কাছে দেয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কোন ব্যবহারকারীকে সরাসরি ইউজার আইডি দেয় না। ইউজার, পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে মনোনীত ব্যবহারকারী প্রতিবার সিস্টেমে লগইন করার সময় আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেওয়া ব্যবহারকারীর নিজ নিজ মোবাইলে ওটিপি নিশ্চিত করেই সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে।