ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: দফায় দফায় জেট ফুয়েলের দাম বাড়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন এয়ারলাইনস মালিকরা। তাই জেট ফুয়েলের দাম সমন্বয়ের দাবিতে এবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে দাবি জানিয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইনস মালিকরা।
রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেয় অ্যাভিয়েশন অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এওএবি)।
চিঠি দেওয়ার সময় এওএবির মহাসচিব ও নভোএয়ার লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মফিজুর রহমান এবং এওএবির সহ-সভাপতি ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ্ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, এয়ারলাইনস পরিচালনা ব্যয়ের ৪০-৪৬ ভাগই জ্বালানি খরচের ওপর নির্ভরশীল। তবে বাংলাদেশে অতি মূল্যায়িত জেট ফুয়েলের কারণে অ্যাভিয়েশন খাত অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি এই খাতে উপর্যুপরি আঘাত করেছে। ফলে এয়ারলাইনসগুলোর দেউলিয়া ঘোষণা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জেট ফুয়েল বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য বাংলাদেশ প্রায়ই আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের চেয়ে ৩০-৪০ শতাংশ বেশি মূল্যে ক্রয় করতে হয়। এর ফলে জিএমজি, ইউনাইটেড এবং রিজেন্টের মতো সম্ভাবনাময় এয়ারলাইনসগুলো দেউলিয়া হয়েছে। জেট ফুয়েল বিক্রয়ের একক কর্তৃত্ব পদ্মা অয়েল কোম্পানির থাকায় এয়ারলাইনসগুলো প্রতিযোগিতামূলক দামে জেট ফুয়েল ক্রয়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে একই জ্বালানি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানির চেয়ে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি মূল্যে ক্রয় করতে হয়। অতি সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জ্বালানি মূল্য পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। পক্ষান্তরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানি মূল্য ৯ সেন্ট (প্রায় ১০ টাকা) কমিয়ে ১ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রীর কাছে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে এওবি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, দেশীয় প্রাইভেট সেক্টর এয়ারলাইনস এবং হেলিকপ্টার অপারেটরদের জন্য সরাসরি পারটেক্স পেট্রোলিয়াম থেকে জ্বালানি ক্রয়ের অনুমোদন, প্রয়োজনে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিদেশ থেকে জেট ফুয়েল আমদানির অনুমোদন প্রদান, অভ্যন্তরীণ জ্বালানি মূল্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানি মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা।
এ বিষয়ে এওএবির মহাসচিব এম মফিজুর রহমান বলেন, চিঠি দিয়ে আমাদের দাবি জানিয়েছি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন- এ মাসের শেষ দিকে এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।