ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘জ্বালানি তেল ব্যবস্থাপনা সাশ্রয়ী ও টেকসই করতে এসপিএম (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং) প্রকল্পটি কার্যকরী অবদান রাখবে। এ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।’
শুক্রবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের মহেশখালিতে “ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন” প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জ্বালানিখাতে যুগান্তকারী মেগাপ্রকল্প এসপিএম বা সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং-এর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। আশা করছি বছরের মাঝামাঝি থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। এতদিন আমদানি করা জ্বালানি তেল বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজ হয়ে রিফাইনারি ট্যাংকে পৌঁছাতে সময় লাগত লাগত ১১/১২ দিন। এসপিএম চালু হলে সমপরিমাণ তেল পরিবহনে সময় লাগবে মাত্র ৪৮ ঘন্টা। এতে বছরে সাশ্রয় হবে কমপক্ষে ৮০০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে কমবে সিস্টেম লস।’
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইনে পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে ছয়টি বিশালাকার স্টোরেজ ট্যাঙ্ক। যা বাংলাদেশের তেল মজুদ সক্ষমতাকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়।’
পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. শরিফ হাসনাত উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি চালু হলে স্বল্প সময়ে, সাশ্রয়ী খরচে ও নিরাপদে জ্বালানি তেল (ক্রুড ওয়েল ও ফিনিসড প্রোডাক্ট) পরিবহন করা সম্ভব হবে। এসপিএম প্রকল্পটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে গ্রহণ করা হয়েছিল। এটি চলতি বছরের জুনে সমাপ্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।