ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বিভিন্ন প্রকার অনুমোদনহীন রং, রাসায়নিক উপাদান, পুকুরের অপরিচ্ছন্ন পানি আর খাওয়ার অনুপযোগী সুগন্ধি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ম্যাংগো, অরেঞ্জ,লিচী সহ হরেক রকম শিশুদের জন্য জুস।
শুধু কি তাই! আরো তৈরি হচ্ছে প্রাণ এর নকল আইস ললী,জেলি ইত্যাদি। ঢাকা, বগুড়া, চট্টগ্রাম, রংপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের নামিদামি কোম্পানির ঠিকানা ব্যবহার করে উৎপাদিত শিশুপণ্য বাজারজাত হচ্ছে। এমনই শিশু খাদ্যপণ্য উৎপাদনের নামে সীমাহীন অনিয়ম আর দুর্নীতি ধরা পড়ে রংপুর নগরীর হারাগাছ আরপিএমপি থানাধীন সরাই এলাকার পোদ্দার পাড়ায় অবস্থিত,’আরাফাত জুস কারখানায়’।
২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে একটি আভিধানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিষয়গুলো চোখে পড়ে এবং অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়।
উপ-পরিচালক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এ সময় ঐ কারখানার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বললে কারখানার মালিক মোঃ আরাফাত হোসেন তা দেখাতে পারেননি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রমানিত হওয়ায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৫ ধারায় পরবর্তী কালে এরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এই মুচলেকায় ১৫,০০০ টাকা তাৎক্ষণিক জরিমানা করেন তিনি। পরে সাহেবকগঞ্জ বাজারে, ‘আল্লাহর দান’ হোটেল ও ‘দুলাল’ হোটেল নামে দুটি রেস্টুরেন্টকে ৪৩ ধারায় ২৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিদপ্তর রংপুরের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ বোরহান উদদীন। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাব রংপুরের প্রতিনিধি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ l