মোঃ মিঠু কবির: সরকারের নির্ধারিত মূল্য ৮৪ টাকা মূল্য তালিকায় পাওয়া গেল ৮৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চিনি। বিক্রেতা বাধ্য হয়েই ক্রয় রশিদ দেখালেন ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তাকে। রশিদে দেখা যায় যে,৮৬ থেকে ৮৭ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রেতার কাছে থেকে তিনিই কিনেছেন । তাহলে তিনি তা বিক্রি করবেন কততে ? এমনই অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলো চিনির বাজারে।
২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ বাজার এলাকায় বর্তমান চিনির বাজার দর তদারকি চলাকালীন এহেন পরিস্থিতি ধরা পড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ বোরহান উদদীন এর সামনে। এ সময়,” সৈয়দ ষ্টোর”,”মালেক ষ্টোর” সহ মোট তিনটি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪০ ধরায় সতর্কী করনের উদ্দেশ্যে নগদ ৪০০০ টাকা জরিমানা করেন তিনি।
তদারকি চলাকালীন ঐ বাজার কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি সহ বিভিন্ন প্রতিনিধি,ক্যাব রংপুরের প্রতিনিধি, মেট্রো পলিটন প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি, ভোক্তা কন্ঠ,সত্যের কন্ঠ ২৪ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। পুরো তদারকিতে সহায়তা করে আরপিএমপি’র রিজার্ভ ফোর্স।
তদারকি চলাকালীন সময়ে উৎসুক সাধারণ ভোক্তারা বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের এ ধরনের তদারকির কার্যক্রমের সাধুবাদ জানান। ময়েন মিয়া নামে এক জন ভোক্তা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল নিত্য পণ্যে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন ভিষন কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
সাকিব হোসেন নামে এক জন মুদি দোকানি বলেন, আমার তো বড় বড় আড়তদর, পাইকারদের কাছে জিম্মি। তারা যদি কম দামে দেয় তাহলে আমরাই বা বেশি দামে বেচবো কেনো ?
তদারকি শেষে সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ বোরহান উদ্দিন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, যতক্ষন বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে না, ততক্ষন পর্যন্ত এ তদারকি চলমান থাকবে।