মোঃ আহসান উল হক তুহিন: গোডাউনে প্রচুর পরিমাণে চিনির মজুদ সঙ্গে রয়েছে আয়োডিনবিহিন লবনও ৷ ট্রাকে করে নতুন মাল আসছে, বেরিয়ে যাচ্ছে রিকশা, ভ্যানে ৷ কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে সেখানে পাওয়া গেল না কোন স্টক রেজিস্টার, ক্রয় এবং বিক্রয়ের পূর্ণাঙ্গ রশিদ ৷ এমনকি চিনি বা লবন সংরক্ষণেও নেই কোন পাটাতন ৷
নিচের দিকে চাপা পড়ে যাওয়া বস্তায় রাখা মজুদ চিনি ও লবনের বিশুদ্ধতা নষ্টের পথে ৷ এমনই অনিয়ম, অরাজকতা আর খাদ্য পণ্য সংরক্ষণের যারপর নাই অনিহা প্রকাশ পেল রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) মাহিগঞ্জ থানায় অবস্থিত ‘শাহী ভান্ডার’ নামক আড়তে ৷
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রংপুর নগরীতে অবস্থিত বিভিন্ন তেল ও চিনির আরতে তদারকি চালায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় ৷ এতে নেতৃত্ব দেন ওই দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ মিয়া ৷
এ সময় রংপুর বিভাগীয় ক্যাবের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নানা অনিয়মে ভরা আড়ৎটিকে ভোক্তা-অধিকার আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয় ৷
তদারকি চলাকালীন সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন ৷ তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি তার অক্ষমতা প্রকাশ করেন ৷
তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনিসহ সংশ্লিষ্ট আড়ৎ ব্যবসায়ীদের সব জানা থাকলেও দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিষ্ঠানগুলো পারস্পরিক ব্যবসার কারণে দায়ী প্রতিষ্ঠান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৷ তবে জাতীয় প্রয়োজনে গোপনে তথ্য সরবরাহ করতে তারা রাজি আছেন ৷
পরে আরপিএমপি তাজহাট থানাধীন মীরগঞ্জ বাজারে তদারকি চলাকালীন বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার ‘মেসার্স মানিক ফার্টিলাইজার’কে গোডাউনে মজুদকৃত সার পাটাতনবিহীন অবস্থায় সংরক্ষণ করতে দেখা যায় ৷ ফলে সরাসরি মাটির সংস্পর্শে এসে অধিকাংশ মজুদকৃত সার প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় পাওয়া গেলে ওই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা-অধিকার আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় এক হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ করে আদায় করা হয় ৷
পরে সহকারী পরিচালক ক্যাব রংপুরের প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে বাজারগুলোতে ভোক্তা-অধিকার আইন ২০০৯ ও ভোক্তা সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিং ও হ্যান্ডবিল, লিফলেট বিতরণ করেন ৷