ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় বরফকল বন্ধ এবং কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন এলাকায় বরফকল বন্ধ রাখা গেলে এবং কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে পারলে মৎস্য আহরণ বন্ধ করা যাবে। এজন্য সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, বাজার ও বরফকল কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে।
এদিকে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে পরবর্তী ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেবে সরকার।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রগামী সব প্রকার মৎস্য নৌযান ট্র্যাকিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। নিষিদ্ধকালে আমাদের সমুদ্রসীমায় কোনোভাবেই যেন বিদেশি নৌযান প্রবেশ করে মাছ ধরতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখলে মাছের উৎপাদন বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমুদ্রে মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই লাভবান হবেন। সমুদ্রগামী জেলেরাই এ মাছ আহরণ করবে। ফলে তাদের স্বার্থেই নিষিদ্ধকালে মৎস্য আহরণে তাদের নিবৃত্ত করতে হবে। মাছের উৎপাদন বাড়লে দেশে চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। খাবারের একটি বড় যোগান আসবে এ মাছ থেকে। তাই মাছ নিধন করলে খাবারের যোগান নষ্ট হবে।
মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় জনপ্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা হবে বলে জানান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে।