ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়মিত বাজার তদারকিতে ৮ মে (সোমবার) রংপুর জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ের সমন্বিত টিম নগরীর নবাবগঞ্জ বাজারে চিনির বাজার তদারকি করে। এ সময় টিমের নেতৃত্ব দানকারী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ আজাহারুল ইসলাম বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের কাছে চিনির প্রকৃত মজুদ সম্পর্কে তথ্য চাইলে, তারা তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং পুনরায় মনিটরিং হলে রংপুরে চিনি সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেন।
ঘটনার একপর্যায়ে মনিটরিং টিম ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে সেখান থেকে বদরগঞ্জ রোডের পাশে বড়বাড়ি নামক এলাকায় পপি আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে সরেজমিনে দেখা গেছে যে, বিভিন্ন প্রকার গাম যেমন,টাইলস ফিটিং গাম, কাগজের গাম ইত্যাদী। নানা প্রকার নিম্নমানের রং, নিম্নমানের সুগন্ধি এবং পামতেলে চকলেট কালার ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে কোন,চকবার,কাপ,বল সহ বিভিন্ন আইসক্রিম। সেখানে আরো দেখা গেছে যে বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও উৎপাদিত আইসক্রিমের প্যাকেটে বিএসটিআই লোগো ব্যবহার করে বাজারে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সেই সব আইসক্রিম।
ভোক্তা স্বার্থবিরোধী এসব কর্মকান্ডে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৩ ধারায় প্রতিষ্ঠানের মালিককে নগদ পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপ-পরিচালক জনাব মোঃ আজহারুল ইসলাম। এসময় একই স্থানে অবস্থিত আরো একটি ডিটারজেন্ট ও টয়লেট্রিজ পণ্য উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং করে।
এছাড়াও আর কে রোডে অবস্থিত ফ্লেম ইন স্কাই নামক চাইনিজ রেস্টুরেন্টে মনিটরিং কালে পঁচা বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা সহ বিভিন্ন অপরাধে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ বোরহান উদ্দিন।
অভিযানে সহায়তা করে ক্যাব রংপুর ও মেট্রোপলিটন পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স।