ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দিনাজপুরের বিরামপুরে সব ধরনের চাল প্রতি কেজিতে ৪/৫ টাকা কমে বিক্রি শুরু করেছেন আড়তদাররা।
মঙ্গলবার বিরামপুর চাল আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করায় বুধবার সকাল থেকে চালের দাম কমে বিক্রি শুরু হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ছয়টি আড়তকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নতুন বাজারের চাল আড়তদার কার্তিক কুন্ডু জানান, বুধবার সকাল থেকেই বাজারে সব ধরনের চাল প্রতি কেজি ৪-৫ টাকা কম দরে বিক্রি হতে শুরু করেছে।
এদিকে, মিলার ও বড় ব্যবসায়ীরা সীমিত আকারে ধান কেনার প্রেক্ষিতে বিরামপুরের আড়তদাররা বুধবার কৃষকদের নিকট থেকে ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। একটিমাত্র আড়ত একদিনের ব্যবধানে মণপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কম দামে সীমিত আকারে ধান কিনছে। এতে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকরা ধান বিক্রি করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।
কাটলা এলাকার ধান বিক্রেতা সাদেক আলী জানান, একদিন আগে ১৪০০ টাকা মণ দরে মিনিকেট ধান বিক্রি করেছেন। বুধবার সেই ধানের দাম কমে ১২৫০ টাকা হয়েছে। এভাবে প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান ১০০ থেকে ১৫০ টাকা হারে কমে গেছে। এ কারণে তিনি ধান নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
বিরামপুর ধানহাটির ধান আড়তদার মহিবুল ইসলাম জানান, ধানের জেলা দিনাজপুরের খাদ্য উদ্বৃত্ত বিরামপুর শহরে ধান কেনার জন্য ২১টি আড়ত রয়েছে। তারা উপজেলায় উৎপাদিত ধান কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকার মিলার ও বড় ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু ধান, চালের অবৈধ মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের একাধিক টিম মাঠে নামার প্রেক্ষিতে মিলার ও বড় ব্যবসায়ীরা ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে বিরামপুর শহরের একমাত্র সুমি ট্রেডার্স সীমিত আকারে ধান কেনা ব্যতিরেকে অপর ২০টি আড়ত বুধবার থেকে ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে একদিনের ব্যবধানে প্রতি মণ ধান প্রকার ভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কম দরে বেচাকেনা করা হয়েছে।