জামালপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি ও ডিজিএম সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সমিতির ৪ জন সদস্য বাদী হয়ে সোমবার বকশীগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং গাইবান্ধা জেলার একটিসহ মোট ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৬নং এলাকা গঠিত। এলাকা ভিত্তিক পরিচালক নির্বাচনের জন্য গত ৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে তফসিল ঘোষণা করা হয় এবং ১৮ জানুয়ারী ২০২২ তারিখে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু তা গোপন রেখে নির্বাচনের বিষয়টি কোন প্রকার মাইকিং বা প্রচারের ব্যবস্থা না করে মামলায় প্রধান অভিযুক্ত মো: মেসবাউল হককে এলাকা পরিচালক পদে নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রার্থী কোন সরকারি বা আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে না পারলেও পরিচালক মো: মেসবাউল হক ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ও সরকারি বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন এবং একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। পরবর্তীতে গত ২৯ জানুয়ারী ২০২২ তারিখে তাকে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। মো: মেসবাউল হক বকশীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জয় প্রকাশ নন্দী, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাচন কমিশন প্রধান মো: আবুল কালাম, জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো: আলমগীরের যোগসাজশে মনগড়াভাবে নির্বাচন করে সভাপতি নির্বাচিত হন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে মো: মেসবাউল হক জানান, তিনি ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কোন সরকারি বেতন ভাতা পান না, শুধু অনুদান পান এবং তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নন। তাই তিনি নির্বাচনী বিধি মেনেই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদস্য বকশীগঞ্জ উপজেলার মেষেরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে মো: ফরহাদ হোসেন পলাশ, একই উপজেলার চর কাউরিয়া মাঝপাড়া গ্রামের মৃত আবু বক্কর মন্ডলের ছেলে মো: আব্দুল হক, চর কাউরিয়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে মো: সেলিম মিয়া ও মাঝপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো: আব্দুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।