বরিশালে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়ে বরিশালের তিন জন অভিযোগকারী বুঝে পেলেন জরিমানার ২৫ শতাংশ টাকা।

বুধবার তিন অভিযোগকারীর পৃথক তিন বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি জরিমানার ২৫ শতাংশ টাকা অভিযোগকারীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ্ শোয়াইব মিয়া জানান, ছাব্বির হোসেন নামে একজন যাত্রী গত ২৬ জুন অনলাইনে সাকুরা পরিবহনের একটি বাসের টিকিট ৫০০ টাকায় কাটেন। কিন্তু ওই সময় ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে বরিশালের নির্ধারিত ভাড়া ছিল ৪২১ টাকা ২৭ পয়সা। পরের দিন ২৭ জুন তিনি ঢাকা থেকে বরিশালে যাত্রা করেন এবং ০৩ জুলাই ভোক্তা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে বাসের টিকেট বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়ায় সাকুরা পরিবহনের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদস্থ বরিশাল কাউন্টারকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর ভোক্তাকে জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে, কিছুদিন পূর্বে বরিশাল নগরের একজন চিকিৎসক সদররোডস্থ মোহনা জেনারেল স্টোর থেকে ৬০ টাকা মূল্যের একটি স্যান্ডুইচ কেনেন। কিন্তু তার রুটি ছিল বাসি ও নষ্ট। স্যান্ডুইচটি খেতে গিয়ে তা খাওয়ার অযোগ্য হওয়ায় সেটি নিয়ে ওই দোকানে যান চিকিৎসক। দোকানের দায়িত্বরতরা স্যান্ডুইচটি রেখে ওই চিকিৎসককে টাকা ফেরত দিয়ে দেন।

এর কিছুক্ষণ পর ওই চিকিৎসক চেম্বারে গিয়ে সেখানকার কর্মচারী দিয়ে আবারও একটি স্যান্ডুইচ মোহনা জেনারেল স্টোর থেকে কিনে আনান। সেটিরও একই অবস্থা হওয়ায় চিকিৎসক প্রমাণসহ ভোক্তা অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার প্রতিশ্রুত পণ্য (স্যান্ডুইচ) যথাযথ ভাবে সরবরাহ না করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মোহনা জেনারেল স্টোরকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৭৫০ টাকা অভিযোগকারীকে নিয়মানুযায়ী প্রদান করা হয়।

ভোক্তা অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ্ শোয়াইব মিয়া জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ অনুযায়ী লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরোপিত জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীকে প্রদান করা হয়। আর জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যেকোনো
কার্যালয়ে ভোক্তা অধিকার লংঘিত হলে কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে প্রমাণকসহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করা যায়।

এদিকে, একইদিন ক্রেতার অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল নগরের সিএন্ডবি রোডস্থ অটবি স্টার ফার্ণিচারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়।

জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ্ শোয়াইব মিয়া জানান, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথ ভাবে সরবরাহ না করার অপরাধে অটবি স্টার ফার্ণিচারকে এ জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ তিন হাজার ৭৫০ টাকা অভিযোগকারীকে নিয়মানুযায়ী প্রদান করা হয়।

অভিযোগকারী জানান, প্রায় লাখ টাকা মূল্যে একটি কেবিনেট ক্রয় করেছিলেন অটবি স্টার ফার্ণিচার থেকে। বাসায় স্থানান্তরের সময় কেবিনের দুটি গ্লাস ভেঙ্গে গেলে সেটি লাগিয়ে দেয়ার জন্য অটবি স্টার ফার্ণিচারের দায়িত্বরতদের বলেন। তাদের লোক এসে গ্লাস লাগিয়ে দেয়ার জন্য টাকাও নেয়, তবে তাদের আনা গ্লাস আকারে ছোট হওয়ায় সেটি না লাগিয়ে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তালবাহানা শুরু করে। যার প্রেক্ষিতে তিনি ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন।