ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দুধ থেকে প্রথমে ননি তুলে নিয়ে বানানো হয় ঘি, সন্দেশ, মাখন। এরপর পামওয়েল আর রং মিশিয়ে ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে বানানো হয় নকল ননি। যা ননি তোলা ওই তরলে (দুধ) মেশানো হয়। যা দেখলে মনে হয় ননিযুক্ত খাঁটি দুধ। পরে সেই নকল দুধ প্রায় চার গুণ বেশি দামে আসল দুধ বলে বাজারজাত করা হয়।
এভাবেই নকল দুধ বানিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের কমল ঘোষ।
তার এ প্রতারণার বিষয়ে জানতে পেরে মঙ্গলবার কমল ঘোষের হাবাসপুর গ্রামের দুধের কারখানায় অভিযান চালায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি সমন্বিত দল। এ সময় ১২ লিটার পামওয়েল, রং, ভেজাল মাখন ও ব্লেন্ডার মেশিন এবং ননি উঠিয়ে নেওয়া ৪০০ লিটার দুধ জব্দ করা হয়। এ সময় আটক করা হয় কমল ঘোষকে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান ও ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান।
এ সময় কমল ঘোষ প্রকাশ্যে তার দোষ স্বীকার করায় তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান জানান, দুধ থেকে প্রথমে ননি তুলে তা দিয়ে ঘি বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে এ চক্রটি। এরপর ননি ছাড়া ওই দুধে কৃত্রিম ননি মিশিয়ে আসল দুধ বলে বাজারে বিক্রি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। এ দুধে কোনো গুণাগুণ থাকে না এবং প্রায় চার গুণ লাভে তারা তা বিক্রি করেন। ব্লেন্ডার মেশিনে পামওয়েল, রঙসহ বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে এ কৃত্রিম ননি তৈরি করা হয়।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে ছয় মাস আগেও একই অপরাধে জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু ভুল না শুধরে গোপনে একই কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি। ভেজালের বিরুদ্ধে তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।