ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণিতে ভর্তি ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আগামী ০১ জুন থেকে শুরু হবে। জনপ্রতি রেজিস্ট্রেশন ফি (বিলম্ব ফি ছাড়া) ১৭১ টাকা এবং বিলম্ব ফিসহ ৩১১ টাকা। বিলম্ব ফি জনপ্রতি ১৪০ টাকা।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা রোববার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ও পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জেএসসি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে দেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অবশ্যই নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। নবম শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মোবাইল নম্বরসহ সব তথ্য অনলাইনে আপলোড করতে হবে। অনলাইনে আপলোড করা না থাকলে শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন দাবি করা যাবে না।
নিবন্ধনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, কোনো শিক্ষার্থীর বয়স ১২ বছর পূর্ণ না হলে এবং ১৮ বছরের অধিক হলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে না।
শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য তথ্য আপলোড করার লক্ষ্যে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি রেজিস্ট্রেশন কমিটি গঠন করতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সদস্যদের দিয়ে বিদ্যালয়ে রক্ষিত ভর্তি ফরম ও সনদের সঙ্গে মিলিয়ে যথাযথ ভাবে নিশ্চিত করবেন। নিশ্চিত হওয়ার পর সাবমিট করবেন। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের নিযুক্ত করা যাবে না। চূড়ান্ত তালিকার প্রিন্ট আউট (হার্ড কপি) প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর তথ্যে ভুল-ত্রুটির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিটির সদস্য যৌথ ভাবে দায়ী থাকবেন।
নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য কোনো শিক্ষার্থীকে কোনো অবস্থাতেই রেজিস্ট্রেশনভুক্ত করা যাবে না।
রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি: রেজিস্ট্রেশন ফি ৮০ টাকা, ক্রীড়া ফি ৫০ টাকা, বয়েজ স্কাউট/গার্লস গাইড ফি ১৫ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি পাঁচ টাকা, রেডক্রিসেন্ট ফি ১৬ টাকা, বিএনসিসি ফি পাঁচ টাকা, বিলম্ব ফি ১৪০ টাকা। বিলম্ব ফি ছাড়া ১৭১ টাকা এবং বিলম্ব ফিসহ ৩১১ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বরের আদেশ অনুযায়ী নবম ও ১০ম শ্রেণিতে (২০+২০)=৪০ টাকা হারে রেডক্রিসেন্ট ফি আদায় করে আদায়কৃত অর্থের ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ টাকা হারে শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে। অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ২৪ টাকা হারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে (স্বতন্ত্র একাউন্ট খুলে) যুব রেডক্রিসেন্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাখতে হবে। ফি জমাদানের জন্য বোর্ডে আসার প্রয়োজন নেই। ব্যাংকে টাকা জমাদানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ই-এসআইএফ পূরণ শুরু করতে পারবে।
বোর্ড সরবরাহকৃত মোবাইল সিম ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক হাজার টাকা এবং মেম্বারশিপ (বিশ্ব স্কাউট সংস্থার) ফি ৪০০ টাকা চেক/ডিগ্রি-এর মাধ্যমে বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর পাঠাবেন। ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পেমেন্ট পরিশোধ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া আছে।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) পর্যায়ে স্বীকৃতি/স্বীকৃতি নবায়ন হালনাগাদ থাকতে হবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ স্বীকৃতি বা নবায়ন নেই সেসব প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত ফি দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। দীর্ঘদিন যাবৎ যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি নবায়ন নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানকে প্রতি তিন বছরকে পূর্ণ এক মেয়াদ ধরে প্রতি মেয়াদে নির্ধারিত পাঁচ হাজার টাকা হিসাবে সমন্বয় করে পাঠাতে হবে।
উপরোক্ত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে বা এ কারণে শিক্ষার্থীর কোনো সমস্যা হলে দায়-দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।