ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) স্নাতক প্রথম বর্ষ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জুন (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় তিন হাজার ২৩১টি আসনের বিপরীতে মোট ২৪ হাজার ৯৮০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটে আসন সংখ্যা যথাক্রমে এক হাজার ২৩৫টি, এক হাজার ৬৫টি ও ৯৩১টি। চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের প্রত্যেক কেন্দ্রে (ক ও খ গ্রুপে) আট হাজার ৩২৬ জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। যার মধ্যে ‘ক’ গ্রুপে ২২ হাজার ৮৯২ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে দুই হাজার ৮৮ জন।
তিনি আরও বলেন, ‘ক’ গ্রুপে ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং ‘খ’ গ্রুপে ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা এবং ২০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কনসহ মোট ৭০০ নম্বরের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যেকোনো জালিয়াতি রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন সেবা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রুয়েট কেন্দ্রের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও লোকাল ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. সেলিম বলেন, এবারের দুটি গ্রুপের (ক ও খ) অধীনে ১৪টি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপে (ইঞ্জিনিয়ারিং, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) মোট সাত হাজার ৭৩২ জন এবং ‘খ’ গ্রুপের (ইঞ্জিনিয়ারিং, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা এবং স্থাপত্য বিভাগ) অধীনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ৫৯৪ জন ভর্তিচ্ছু অংশ নেবে।
তিনি বলেন, পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ডাউনলোডকৃত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের হার্ডকপি (কালার প্রিন্ট) অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বন বা কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে পরীক্ষা বাতিল বলে গণ্য হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর পরীক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে পারবে না এবং পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর এক ঘণ্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার কক্ষ ত্যাগ করতে পারবে না। পরীক্ষা চলাকালে ক্যালকুলেটর (ভর্তি কমিটির অনুমোদিত) ছাড়া মোবাইল ফোন, জ্যামিতি বক্স, স্কেল, সেট স্কয়ার, কম্পাস ও কোনো প্রকার ব্যাগসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না।