চলছে আষাঢ় মাস। আম, জাম, লিচু, আনারস কাঁঠালসহ নানা স্বাদের, ঘ্রাণের বাহারি সব ফল দেখা যাচ্ছে রাজধানীর বাজারগুলোতে। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা নেই। এমন ভাষ্য বিক্রেতাদের।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ফলের আড়ৎ ও বিভিন্ন দোকান ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
মধুমাখা ফলগুলোর মধ্যে বাজারে আধিপত্য বেশি আমের। কইতর আম কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়; হাড়িভাঙ্গা ১০০ থেকে ১১০; গোপালভোগ ৯০ থেকে ৯৫; হিমসাগর ৯০ থেকে ১০০; আম রূপালি ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁঠাল আকার, আকৃতি ভেদে ৫০ থেকে ২০০ টাকা, জাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে দেশি ফলের মধ্যে পেয়ারার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। মাঝারি ও বড় আকারের প্রতিটি আনারসের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা। সবরি কলার দাম চড়া বাজারে। প্রতি ডজন ১১০ থেকে ১২০ টাকা। সাগর কলার দামও প্রায় কাছাকাছি। ৯০ থেকে ১০০ টাকা ডজন। দেশি কলার ডজন ৮০ থেকে ১০০ টাকা। পেঁপে ৬০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি ফল সফেদার কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এর বাইরে দেশে উৎপাদিত স্ট্রবেরি আর ড্রাগনও আছে বাজারে।
মাঝারি মানের প্রতি কেজি স্ট্রবেরির দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। এক কেজি আতা ফলের দাম রাখা হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। আর সফেদার কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। বিদেশি খেজুরের দাম এবার বেশ বাড়তি। মোটামুটি মানের খেজুর কিনতে গেলেও প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা গুনতে হয় ক্রেতাদের।
বাজারে এখন প্রতি কেজি ফুজি আপেল ২৫০ টাকা, গালা আপেল ২৮০ টাকা, সবুজ আপেল ২৫০ টাকা। কমলা ২৬০ টাকা, চাইনিজ কমলা ২৫০ টাকা, মাল্টা ২০০ টাকা। আনার ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। লাল আঙুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, সাদা আঙুর ৪০০ টাকা। নাশপাতি ২৯০ টাকা, নাগফল ৩২০ টাকা, ড্রাগন ফল ১৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ফল কিনছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী রায়হান আহমেদ। রায়হান বলেন, আম রূপালি আর সফেদা কিনলাম। একটু দাম বেশিই। আম কিনেছি ১২০ টাকা করে। সফেদা ১৪০ টাকা কেজি। ফল আগে আরও বেশি কেনা হতো। এখন পারিবারিক কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে কেনা কমিয়েছি।
কারওয়ান বাজারের ফল বিক্রেতা মাজহারুল ইসলাম বলেন, বেশিরভাগ মৌসুমি ফলের মৌসুম শেষের দিকে হলেও বাজারে এখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে। তবে, ক্রেতা কম। ফলের একটু দাম বেশি মৌসুম শেষ তাই। বেচা-বিক্রি কম, ক্রেতা তুলনামূলক নেই।
ফলের বাজারে ক্রেতা কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মায়ের দোয়া ফল ভাণ্ডারের সত্ত্বাধিকারী শামসুল আলম বলেন, সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। সেটারই প্রভাব পড়েছে বাজারে। মানুষ ফলটাকে ঐচ্ছিক মনে করে এখন। তাই আগের তুলনায় বিক্রিও কমে গেছে আমাদের।