ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খুলনার বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে গত সপ্তাহে ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম এখন ৮০-১০০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
খুলনার নিরালা, গল্লামারী, মিস্ত্রিপাড়া ও টুটপাড়া জোড়াকল বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সবজি বাগান তলিয়ে গিয়ে প্রচুর সবজি নষ্ট হয়েছে। তাই বাজারে সরবরাহ কমে গেছে।
খুলনার বাজারে এখন ৪০ টাকার পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ৫০ টাকার বরবটি ৬০-৭০ টাকা, ৫০ টাকার ঢেঁড়স ৬০ টাকায়, পেঁপে ৪০ টাকা, ৬০ টাকার ঝিঙে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায়, ৬০ টাকার করলা ৮০ টাকা, ৬০ টাকার কাঁকরোল রকমভেদে ৮০ টাকা, এছাড়া কচুর মুখি ৭০ টাকা, ৪০ টাকার লাউ ৫০ টাকা, ওল ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কুশি ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
নিরালা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মশিউর বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে খুলনায় উৎপাদিত সবজি এখন আর খুলনাবাসীর খাওয়ার উপায় নেই। কৃষকরা ক্ষেত থেকেই সবজি বিক্রি করে দিচ্ছেন ফড়িয়াদের কাছে। ফড়িয়ারা সেই সবজি ট্রাকে করে তিন ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীতে পৌঁছে দিচ্ছে। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক এখন আর খুলনার পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে তাদের সবজি বিক্রি করছেন না। তারপরও যা পাওয়া যায় তা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
গল্লামারী বাজারের ব্যবসায়ী ইলিয়াস বলেন, খুলনার গল্লামারি বাজার টাটকা সবজির বাজার হিসেবেই পরিচিত। বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়াসহ আশেপাশের এলাকায় উৎপাদন হওয়া সবজি সবার আগে চলে আসতো গল্লামারি বাজারে টাটকা সবজি আশায়। কিন্তু এখন খুলনার সবজি বাইরে চলে যাওয়ায় খুব কম সবজি জুটছে খুলনাবাসীর ভাগ্যে।
বাজারে করতে আসা আসলাম হোসেন, আবু হাসান ও পিন্টু সরকার নামের কয়েকজন ক্রেতা বলেন, বাজারে এখন ভালো সবজি খুঁজে পাওয়া গেলেও তার দাম আকাশছোঁয়া। বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে একটা অজুহাত দেখান।
তারা বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে মালামাল চলে যায় ঢাকায়। প্রতিযোগিতা করে অধিক দাম দিয়ে কিনতে হয় সবজি। পচনশীল হওয়ায় অনেক সময় লোকসান গুনতে হয় খুচরা বিক্রেতাদের। এছাড়া নানা ধরনের খাজনা দিয়ে ব্যবসা করতে গেলে না কি তাদের লাভ হয় খুবই সীমিত।