ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কাঙ্ক্ষিত হারে সৌর শক্তির বিকাশে প্রয়োজন প্রযুক্তি হস্তান্তর ও ব্যাপক বিনিয়োগ। ২০৪১ সালের মধ্যে সৌর শক্তি নিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এ খাতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। কম জমি ব্যবহার করে বা কম বিকিরণ থেকে বেশি সৌর বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রযুক্তির অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা আবশ্যক।’
সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ)-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভায় বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ৮ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। নেট মিটারড রুপটপ সোলার, সোলার ইরিগেশন পাম্প, ভাসমান সোলার, সৌর এগ্রোভোলটাইক্স ইত্যাদি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। চার লক্ষ ৫০ হাজার ডিজেল পাম্পকে সোলার ইরিগেশন পাম্পে রূপান্তর করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে যা অতিরিক্ত এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ সংযুক্ত করবে।’
৪৪ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়ায় ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ) কে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত নীতি, নিয়ন্ত্রক কাঠামো, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিজনেস মডেল তৈরি করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। সোলার রোড ম্যাপ দ্রুত প্রণয়ন করা জরুরি।’
ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ)-এর মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে এগুলোতে পারলে সৌরশক্তির দ্রুত বিস্তার ঘটবে। এ সময় তিনি পাইলট প্রকল্পে অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ)-এর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন। সভায় সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়ানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচনাকালে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব নীরদ চন্দ্র মন্ডল, আইএসএ-এর গভার্নেন্স ও পার্টনারশীপ ইউনিটের প্রধান শিশির সেট, আইএসএ-এর অর্থ বিশেষজ্ঞ প্রাজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।
-এসএম