ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কার্যকরী পর্ষদের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন।
বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই’র নবনির্বাচিত সভাপতির কাছে প্রেরিত অভিনন্দন বার্তায় তিনি দেশে ন্যায্য ব্যবসার পরিবেশ তৈরী ও ভোক্তাবান্ধব পরিবেশ তৈরীতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
২০২৩-২৫ এর নির্বাচনে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির প্রতিনিধি আমিন হেলালী, সহ-সভপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, যশোধা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসাইন চৌধুরী রনি এবং মুনির হোসাইন নির্বাচিত হয়েছেন।
নাজের হোসাইন বলেন, দেশের শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যের মূল নিয়ামক হলো ১৮ কোটি ভোক্তা। আর ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যও অস্থিত্বহীন হয়ে পড়বে। আর সরকার ও ব্যবসায়ীদের নীতি প্রণয়নে ভোক্তা স্বার্থ ও তাদের সমঅংশগ্রহণ পুরোপুরি উপক্ষিত থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশে ব্যবসা বাণিজ্যে সুস্থ ধারা বিরাজমান না থাকায় এবং কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ীর আধিপত্যের কারণে নিত্যপণ্য মূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি এবং মুষ্ঠিমেয় অসৎ, মুনাফাখোর, মজুতদার, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিগত সরকারগুলোর তোষননীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বাজারে আগুন ছড়িয়ে মধ্যবিত্তসহ সর্বস্তরের সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রাকে ভয়াবহ দুর্বিষহ ও জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত ব্যয় বহুল হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, কিছু মুষ্ঠিমেয় মুনাফাখোর অসাধু ব্যবসায়ীদের দিনে দিনে কোটিপতি হবার নগ্ন বাসনায় ব্যবসা বাণিজ্যে সুশাসন নিশ্চিত হচ্ছে না। আর তারা কোনো ভাবেই চিন্তা করছে না, ভোক্তারা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রতারিত হয় তাহলে তাদের উৎপাদিত ও বাজারজাতকৃত পণ্য কারা ভোগ করবে? এবং ব্যবসার স্থায়িত্ব থাকবে না। আর ভোক্তাদের মধ্যে ওই ব্যবসায়ীর আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার পরিজনসহ অন্য সদস্যরাও রেহাই পাচ্ছে না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্যের দেওয়াল ক্রমশ বাড়ছে। অস্থিরতার বলি হচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, যা পুরো ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য অশনি সংকেত।
অভিনন্দন বার্তায় নাজের হোসাইন আশা প্রকাশ করেন- এফবিসিসিআই এর নেতৃবৃন্দ আগের মতো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের পাশাপাশি ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় তৎপর থাকবেন। এবং ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সেতু বন্ধন রচনায় বরাবরের মতো অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।