ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রাজধানীতে ডিমের দাম হালিতে পাঁচ টাকা কমেছে, ডজনে কমেছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
তবে বিভিন্ন আড়ত ও দোকানে অভিযানের ফলে ডিমের দাম কমে আসছে বলে মনে করছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এখন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকায়। দুি দিন আগেও যা ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। একদম পাড়া-মহল্লার দোকানে প্রতি পিস ডিম যেখানে ১৫ টাকা পর্যন্ত ছিল, সেটা বুধবার ১৩ টাকা ৭৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
হঠাৎ করেই ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কারওয়ান বাজার, কাপ্তানবাজার, মিরপুর এলাকাসহ ছয়টি টিম রাজধানীতে কাজ করছে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মূল্য তালিকা না থাকার অভিযোগে এক আড়তে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সপ্তাহ দুয়েক ধরেই টালমাটাল ডিমের বাজার। একটি ডিম কিনতে ভোক্তার খরচ করতে হয় ১৫ টাকা পর্যন্ত, যা ডিমের দামে রেকর্ড।
প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, বাজারের তুলনায় প্রতি পিস ডিমে তারা দুই টাকা কম পান। কারণ ডিম বিক্রি পুরোটাই নিয়ন্ত্রিত। দেশের বিভিন্ন পোল্ট্রি ডিলার অ্যাসোসিয়েশন, সমিতির মাধ্যমে ডিমের দাম কত হবে তা নির্ধারণ করা হয়। তাদের নির্ধারিত দামের বাইরে ডিম বিক্রির সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে রামপুরা বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, দাম এখন যেখানে আছে, এর চেয়ে আরেকটু কমলে সবার জন্য ভালো হতো। কয়েকদিন গেলে দাম আরও কমবে। বাজারে সরবরাহ বাড়ায় ডিমের দাম কমছে।